‘কালাকশেত্র ফাউন্ডেশন’ : সংস্কৃতি চর্চার আঁতুড়ঘর

প্রকাশিত: ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২০

‘কালাকশেত্র ফাউন্ডেশন’ : সংস্কৃতি চর্চার আঁতুড়ঘর
আলোকিত সময়, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ এক সময়ের বালুতে ভরা পুরো জায়গাটিতে এখন শুধুই সবুজের রাজত্ব। শুধু প্রকৃতিকেই রূপান্তর করা হয় নাই, সেই সাথে শিল্প সংস্কৃতিকে লাখ লাখ তরুণ তরুণীর মনে গেঁথে দেয়া হয়েছে। বলছি ভারতের সবচেয়ে বড় শিল্প সংস্কৃতি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান কালাকশেত্র বা কলাক্ষেত্র ফাউন্ডেশনের কথা। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে, বাংলাদেশি ২০ জন সাংবাদিকবৃন্দের একটি প্রতিনিধি দল এক্সটারনাল পাবলিসিটি ফ্যামিলিয়ারাইজেশন ট্যুর করছে দেশটিতে। প্রতিনিধিদলটি সদস্য দিনাজপুর প্রেসক্লাবের তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক কৌশিক বোস বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের মত প্রতিষ্ঠান এটি। ১৯৩৬ সালে রুক্মিনী দেবী অরুনদালে ও তার স্বামী জর্জ অরুনদালে গড়ে তোলেন। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাইয়ে বালু ভরা একটি জায়গা বেছে নেন। দিনে দিনে সেটিকে সবুজে রূপান্তর করেন তারা। কালাশক্ষেত্র, বাংলায় বললে বোঝা যায় ‘কলা কেন্দ্র’। ভারত নাট্যমসহ নৃত্যের নানা বিষয়, ভিজুয়্যাল আর্ট-এর ওপর চার বছরের ডিপ্লোমা প্রদানকারী এই কেন্দ্র এখন সরকারের সহযোগিয়তায় উন্নীত হয়েছে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে। ১৯৬০ সালে ফাউন্ডেশনের পরিধি বেড়ে হয় ১০০ একর। পুরো জায়গায় যেনো শুধু শিল্প সংস্কৃতি চর্চার জন্যই। বালুর বুক ভেদ করে শুধু সবুজের বিচরণ। সকালে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের শেখা। যেখানে সকল ধর্মের শিক্ষক শিক্ষার্থী এক হয়। এর পর শুরু হয় নানা জায়গায় শিক্ষাদান। কালাকশেত্র, বাংলায় বললে বোঝা যায় ‘কলাকেন্দ্র’। প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিচালক রেভতি রামাচন্দ্রন বললেন, হৃদয়বান রুক্মিনী দেবী তাঁর জীবনের সবকিছু উজাড় করে এই কলাকেন্দ্র সৃষ্টি করেছেন যা আজ সর্বভারতের সবচেয়ে বড় শিল্প-সংস্কৃতি শেখার প্রতিষ্ঠান। প্রকৃতির মাঝে গড়ে উঠা কলা কেন্দ্রের শিল্পীদের পারফরমেন্স সত্যি মুগ্ধ করার মতো। কেন্দ্রের পরিচালক শুরুতেই বলেছিলেন, একটা জাতির ব্যবসা, বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রশাসন কিছুই এগোয় না যদি শিল্প, সংস্কৃতি আর সাহিত্যকে জীবনের মূল স্রোতে শামিল করা না হয়। রুক্মিনী দেবী শুধু তপ্ত বালুকে সবুজেই রূপান্তর করেন নাই, মুক্তমনা মানুষ গড়ার কারখানা তৈরি করে গেছেন। শুধু ভারতের নয়, আগ্রহী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদেরও সুযোগ রয়েছে চেন্নাইয়ের এই কলাকেন্দ্রে পড়ার। ওয়েবসাইট থেকে ভর্তির সময় ও নিয়ম জেনে নিতে পারেন তারা

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest