বুলবুল আহাম্মেদ নাটোর প্রতিনিধিঃ সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নতুন কৌশলে বড়াইগ্রামে কৃষি জমিতে অবাধে চলছে পুকুর খনন। রীতিমত তিন ফসলী জমি লিজ নিয়ে এসব পুুকুর খনন করা হচ্ছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোথাও এক্সকেভেটর (ভেকু) আর কোথাও শ্রমিক দিয়ে চলছে মাটি খনন। পরে সে মাটি ট্রলি-ট্রাক্টরে করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মৌখিক অনুমতি নিয়েই কৃষি জমির এমন ধ্বংসযজ্ঞ চলছে বলে দাবী পুুকুর মালিকদের। তাই দিনের পর দিন অবাধে চলছে পুকুর খননের কাজ। এতে করে শুধু কৃষি জমিই নষ্ট হচ্ছে না পরিবেশের উপরও বিরুপ প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে সড়ক-মহাসড়কেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত এর অবসান না হলে উপজেলায় জলাবদ্ধ এলাকার পরিমাণ বৃদ্ধিসহ পরিবেশে বিরুপ প্রভাব পড়ারও আশঙ্কা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। তবে উপজেলা প্রশাসনের দাবী, পুকুর খনন বন্ধে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জোনাইল বাগবাচ্চা এলাকার অরুন বিশ্বাসের সাড়ে তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে সবুজ ধান কেটে অবৈধভাবে অবাধে পুকুর খনন করছেন মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি। বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের চন্ডিপুর এলাকার গরিলার বিলে নিখলেশ কস্তার সাড়ে চার বিঘা জমি লিজ নিয়ে আসাদ আলী নামে এক ব্যাক্তি পুকুর কাটছেন। দিঘইর কান্দিপাড়া গ্রামের আলাল উদ্দিন, সংগ্রামপুরে পরেশ ফসলী জমিতে ও জোয়াড়ী ইউনিয়নের কুমরুল মাঠে পুকুর কাটছেন। এ ছাড়া মানিকপুর, মামুদপুর, আগ্রান, পারকোল, রাজাপুর, গড়মাটিসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে পুকুর খনন। সেই সাথে কাঁচা-পাকা রাস্তা এবং মহাসড়ক ব্যবহার করছে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর। এতে ক্ষতি রাস্তাঘাটের ক্ষতি ও দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে গাড়ীগুলো চালাতে দেখা যায় অধিকাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক। যাদের বয়স পনের থেকে বিশের মধ্যে। এদের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ি চালানোর কোন বৈধ কাজ কাগজপত্র নেই। মাঝে মধ্যে প্রশাসন অভিযান চালালেও কোনোভাবেই কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছেনা বলে এলাকাবাসী জানান। এ ব্যাপারে ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমিতে খনন বন্ধে পুকুর মালিকসহ গাড়ীর চালককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হচ্ছে। নতুন করে কেউ কৃষি জমিতে পুকুর খনন করতে পারবে না।