করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফকিরহাটে ব্যাপক সচেতনতা

প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২০

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফকিরহাটে ব্যাপক সচেতনতা

মোঃ সাগর মল্লিক, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের ফকিরহাটে কোভিট-১৯, করোনা মোকাবেলায় ব্যাপক সচেতনতায় ব্যাস্ত উপজেলা প্রশাসন। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সচেতনতায় ব্যাস্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের। তাছাড়া বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদের সচেতনতায় অনেকটা এগিয়েই আছে। তারপরেও যেসকল বিদেশ ফেরত ব্যক্তি উপজেলা প্রশাসনের সচেতনতায় পাত্তা না দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনের স্থানে নির্ভিকারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের আনা হচ্ছে জরিমানার আওতায়। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে। সেই সাথে সকল চায়ের দোকানের টেলিভিশন বন্ধ সহ হাটে বাজারে জনসমাগম না করার নির্দেশ প্রদান করে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় বাজার কমিটির সাথে দফায় দফায় বৈঠকের মাধ্যমে সচেতন করছেন দোকান মালিকদের।উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জনসমাগম ঠেকাতে মোতায়েন করা হয়েছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। সেই সাথে করোনা পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মনিটরিং ও করছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ও সত্যতা প্রমানের মাধ্যমে জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে অসাধু ব্যাবসায়ীদের। এব্যাপারে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহানাজ পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন স্থানে কিছু অসাদু ব্যাবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেশি নিচ্ছে, আমরা তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সাথে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য সচেতন করছি যারা সচেতন না হয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশে প্রভাব ফেলতে পারে ব্যাপক হারে। আতংকিত না হয়ে যদি আমরা সকলে যার যার স্থান থেকে সচেতন হয় তবে করোনার প্রভাব কমে আসবে আশা করি।তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে হাটে বাজারে জনসমাগম না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছি। এর আগে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা মেডিকেল টিম গঠন করে সচেতনতার অংশ হিসাবে লিফলেট বিতরণ করেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ১৭ই মার্চ থেকে ৩১ শে মার্চ অবদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.অসীম কুমার সমদ্দার জানান, ফকিরহাটে বিদেশ ফেরত ব্যক্তি আছেন ৩৪২ জন যাদের ভিতর ১৪৩ জনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে এবং ১৯৯ জন কোয়ারেন্টাইনে আছে।তবে সকলে যদি হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলে ও হাট বাজারে জনসমাগম না করে তবে আশা করি এই রোগের সংক্রমণ কম হবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest