ঢাকা ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধিঃ নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি সেবার সঙ্গে নিয়োজিতরা ছাড়া রাজধানী কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের আগমন-বহির্গমন বন্ধে ক’ঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। কিছু কিছু কারখানা চালু হওয়ার খবরের মধ্য শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকসহ হাজার হাজার মানুষের ঢাকামুখী ঢল নামে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর রাতে আইজিপি এ নির্দেশনা দেন বলে পু’লিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। সোহেল রানা বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে ছুটে আসা শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ যেন ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে আইজিপির নির্দেশ সংশ্লিষ্ট পু’লিশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। পু’লিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সকল ধরনের মুভমেন্ট বন্ধ আছে। কেউ ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না, ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না।’ তিনি বলেন, যে যেখানে আছেন, সেখানে অবস্থান করবেন, কোথাও সমবেত হতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন থাকলে তার বা তাদের বি’ষয়টি শিথিলযোগ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। রোববার থেকে গার্মেন্টস খোলার খবরে শনিবার দিনভর আশপাশের জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার শ্রমিককে ঢাকার পথে দেখা যায়। করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে ঘরে অবস্থানের নির্দেশনার মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শত শত নারী-পুরুষের পায়ে হাঁটা মিছিল ও ফেরিতে শত শত মানুষের গাদাগাদি করে পদ্মা পার হওয়ার ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্তের মধ্যে কারখানা খোলার সিদ্ধান্তের জন্য মালিকদের এবং হাজার হাজার মানুষকে দলে দলে এতটা পথ পাড়ি দিতে দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে রাতে ১১ এপ্রিল সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি পর্যন্ত গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানায়। প্রসঙ্গত প্রাণঘা’তী করোনায় এ পর্যন্ত দেশে মোট ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩০ জন। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এর পর ১৮ মার্চ কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর। ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো সংস্থাটি জানায় যে, বাংলাদেশে সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST