ঢাকা ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, ৫০ হাজারেরও অধিক শতভাগ উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের শেষ আশ্রয় স্হল দেশ রত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি উদাত্ত আহ্বান,
মাননীয় নেত্রী দেশের এই করোনা আক্রান্ত সময়ে আল্লাহ্ আপনাকে হেফাজতসহ নেক হায়াত ও সাহস দান করুন। আমিন।
প্রিয় নেত্রী, দেশের ৫০ হাজারেরও অধিক শতভাগ উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষানবীশ আইনজীবী ও তাদের পরিবার দোয়াসহ আপনার পাশে আছে। অতীতেও দেশের ক্রান্তিকালে শক্তহাতে হাল ধরে সফল হয়েছেন ইনশাআল্লাহ এবারও পারবেন। আপনাকে পারতেই হবে।
প্রিয় নেত্রী, দেশের এই ক্রান্তিকালে বিভিন্ন শ্রেণী, পেশার ও প্রতিষ্ঠান আর্থিক অসুবিধার কথাবলে আবেদন নিবেদনের মাধ্যমে আর্থিক প্রনোদনা মন্জুর করে নিয়েছে, আপনিও তা দিয়েছেন। আরোও বিভিন্ন শ্রেণী, পেশার ও প্রতিষ্ঠান আর্থিক অসুবিধার কথাবলে আবেদন নিবেদন করছে বা করবে, আপনি তাদেরও হয়তো খালি হাতে ফিরাবেননা। আল্লাহর রহমতে আপনি কাউকে খালি হাতে ফিরাননা। করোনাক্রান্তবস্হায় সাহায্য চাওয়া ও মন্জুর করা উভয়ই সঠিক।
প্রিয় নেত্রী, দেশের এই ক্রান্তিকালে ৫০ হাজারেরও অধিক শিক্ষানবীশ আইনজীবী ও তাদের পরিবার নিধারুন জীবনাতিবাহিত করছে, জানিনা আল্লাহপাক আমাদের আর কতদিন এভাবে চালাবেন। এই দুরাবস্থার কথা নাপারি কারুর কাছে চাইতে, নাপারি সইতে, আর নাকরছে কেউ সহযোগিতা।
প্রিয় নেত্রী, দেশের এই ক্রান্তিকালে ৫০ হাজারেরও অধিক শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা আপনার নিকট অন্যদের মত আর্থিক সাহায্য চাইনা। আইনজীবী পেশায় মক্কেল পেলে়, কাজ করলে আয়-রোজগার হয়, অন্যথায় দিন শেষে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। সোজা কথা খেটে খাওয়া মানুষ আর গরীব দুঃখি মানুষের আইনি সহায়তাকারী। কিন্তু বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের খামখেয়ালিপনা ও পরীক্ষানামক যন্ত্রনায় আজ অতিষ্ঠ ও অসহায়।
যেহেতু ডাক্তার ও ইন্জিনিয়ারসহ অন্যান্য পেশার সদস্যরা পরীক্ষানামক যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ ও অসহায়ত্ব হতে হয়না, অর্থাৎ নির্দিষ্ট প্রফেশনাল কোর্স পাশ করার পর স্বস্ব কাউন্সিলের সদস্য হয়ে প্রফেশনা শুরু করতে পারছে, এই পদ্ধতি উন্নতবিশ্বে বিদ্যমান রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষানামক অসহ্য যন্ত্রনা থেকে মুক্তি চাই।
প্রিয় নেত্রী, এক সময় এখান থেকেই দেশবরন্য আইনজীবী হবে, হবে দেশের প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা। সুতরাং এদের বাচাতে হবে। নাহয় একদিন রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ চরম দূরাবস্হার স্বীকার হবে।
সুতরাং প্রিয় নেত্রী, এই মুজিব শতবর্ষে আমরা প্রনোদনা চাইনা, চাই বিশেষ ব্যবস্থায় সরকারি আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আইন কর্মকর্তাসহ বার কাউন্সিলের সনদ।
মাননীয় নেত্রী, আপনি আমাদের শেষ আশ্রয়স্হল, আপনার কাজ থেকে কেউ খালি হাতে ফিরেনা, তাই আমরা ৫০ হাজারেরও অধিক শতভাগ উচ্চ শিক্ষিত এলএল.বি ডিগ্রি পাশ করা শিক্ষানবীশ আইনজীবী আপনার মূল্যবান সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। আল্লাহ্ আপনার সহায় হউন।
অনুরোধক্রমে
এস. এম. আলমগীর হোসাইন
সভাপতি
বঙ্গবন্ধু শিক্ষানবীশ আইনজীবী পরিষদ
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST