মোঃ সাগর মল্লিক বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটে গত এক মাসে কারও শরীরে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি। গত ৮ মার্চ প্রথম দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্ত হওয়ার পর এই জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে পুলিশ সদস্য ও নারীসহ আটজনকে আইসোলেশনে ভর্তি করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের সবার শরীরের স্যাম্পল সংগ্রহ করে পাঠানো হয় আইইডিসিআরে। সেখানে পরীক্ষায় সবাই করোনা মুক্ত বলে জানায় আইইডিসিআর। এই জেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে সব মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে, বাগেরহাটের জনগনকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে রেডক্রিসেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাগেরহাটে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। তারা হ্যান্ড মাইকে এলাকার সবাইকে অযথা বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি না করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যখন শুরু হলো তখন আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি, সামাজিক দুরত্ব মানিনি। সামাজিক দুরত্ব না মানার ফলে কমিউনিটি যে ট্রান্সমিশন সেই ট্রান্সমিশনে এক থেকে আরেকজনের মধ্যে তা সংক্রমিত হতে শুরু করেছে। এখনো সময় আছে এটা থেকে দুরে থাকতে আমাদের একটাই কাজ তাহলো ঘরে থাকা। আগামী দুই সপ্তাহ যদি নিয়ম মেনে চলি এবং যার শরীরে এই রোগে উপসর্গ রয়েছে তিনি যদি ঘরে থাকেন অথবা স্বাস্থ্য বিভাগে এসে চিকিৎসা নেন তাহলে অন্যের মধ্যে নতুন করে সংক্রমিত হবে না। তিনি আরো বলেন, বাগেরহাটে গত এক মাসে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি হয়েছেন তাদের কারও শরীরে কিন্তু করোনার উপস্থিতি পাইনি। তাতে আমরা বলবো বাগেরবাসী আমরা এখনো ভাল আছি, এই অবস্থা ধরে রাখার সুযোগ আছে। তাই এই অবস্থা ধরে রাখার সুযোগ আমাদের কাছে আছে। তাই আসুন আমরা নিয়ম মেনে ঘরে থাকি। অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বেরোই। আর যদি বেরোই তাহলে মুখে মাক্স ব্যবহার করি, ভাল করে সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুই। তাহলেই বাগেরহাটকে করেনা মুক্ত রাখা সম্ভব হবে। সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। এই পরামর্শ না মানলে প্রশাসন আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হবে বলে সাবধান করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা