নাটোরে হতদরিদ্র অসহায়দের মাঝে ত্রান সামগ্রী দিলেন -এসপি

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২০

নাটোরে হতদরিদ্র অসহায়দের মাঝে ত্রান সামগ্রী দিলেন -এসপি
বুলবুল আহাম্মেদ, নাটোর প্রতিনিধিঃ বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টিকারী প্রাণঘাতী করোনার (কোভিট-১৯) প্রাদুর্ভাবে জনজীবন থমকে আছে। অর্থনীতির চাকার অবস্থাও নাজুক। যতদিন যাচ্ছে তত যেন অভাব মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সেতুবন্ধন হচ্ছে দাতা এবং গ্রহীতাদের মধ্যে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণে দাতাদের প্রশংসার কথাও যেমন শোনা যাচ্ছে তেমনি রয়েছে লোক দেখানো দানের অভিযোগ। তবুও মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এটাই বড় কথা। এ না হয় যারা দিচ্ছে এবং যারা চাচ্ছে তাদের হিসাব। কিন্তু যাদের নেই আবার লোকলজ্জার ভয়ে হাত পাততেও পারছে না তাদের কি হচ্ছে? কিম্বা, চলমান লকডাউনে কাজের সন্ধানে বাধ্যহয়ে বাড়ির বাইরে বের হওয়া খেটে খাওয়া কর্মহীন দরিদ্র শ্রেণির মানুষের? হ্যাঁ, এই শ্রেনীর মানুষদের অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা নিজ উদ্যোগেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং নিজ হাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। বলছেন, ‘প্লিজ ভয় পাবেন না, আমি অাপনাদের জেলার এসপি লিটন কুমার সাহা, খাদ্য সহায়তা নিয়ে এসেছি।’ পুলিশ কর্মকর্তা হলেও অসহায় মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন দায়িত্ব পালনে জনবান্ধব এবং নাটোরের জনসাধারণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠা এই দায়িত্বশীল, সৎ, নিষ্ঠাবান পুলিশ সুপার। তাঁর মতো কিছু পুলিশ কর্মকর্তার করা ভালো কাজগুলো পাল্টে দিচ্ছে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক সব ধারণা। সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে তিনি জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অর্ধশতাধিক কর্মহীন নিম্নঅায়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেছেন। এবং করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা মেনে সবাইকে বাড়িতে থাকার অনুরোধও জানাচ্ছেন জনবান্ধব এই পুলিশ অফিসার। এছাড়া এসপি লিটন সাহা’র নেতৃত্বে জেলার সকল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারগণ এবং ৭ থানার ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ত্রাণসামগ্রী বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে নিম্নআয়ের মানুষ অসহায় দিনযাপন করছে। সেই সব মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে দাড়াচ্ছে নাটোর জেলা পুলিশ।’ সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এসপি বলেন, আমার অনুরোধ এই পরিস্থিতিতে অসহায় লোকজনের পাশে দাঁড়াবেন। দরিদ্র মানুষের মাঝে নাটোর জেলা পুলিশের খাদ্যসামগ্রী দেবার এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। যখন করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। যারা একেবারেই কাজ করতে পারছেন না, আবার লজ্জায় কারও কাছে সহযোগিতা চাইতে পারছেন না- এমন পরিবারগুলোকে পুলিশের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ায় নাটোরের পুলিশ সুপারের এ উদ্যোগ সর্বস্তরে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest