ফলোআপ: সেই ইউপি সদস্যর ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন চায় বাদী

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২০

ফলোআপ: সেই ইউপি সদস্যর ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন চায় বাদী

মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধিঃ ত্রাণ দেওয়ার নামে ধর্ষণ করার অভিযোগে ইউপি সদস্য আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম কে পরিবর্তন করে অন্য কোনো কর্মকতাকে দিয়ে মামলার তদন্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী। এদিকে মামলার প্রধান আসামী আনোয়ার খানকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি তালতলী থানা পুলিশ শনিবার(১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় তালতলী সংবাদিক ফোরামে এসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগি পরিবারটি। লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়ের পূর্ব বাদুরগাছা এলাকার করোনা ভাইরাসের কারনে দিনমজুর সোবাহান কোনো কাজকর্ম না করতে পেরে বেকার হয়ে পড়ে তার পরিবারটি। এর জন্য তার পরিবার খাদ্য সংঙ্কটে পড়ি। পরে বিষয়েটি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে গত ৫ এপ্রিল সোমবার জানালে তিনি তাদের নাম সরকারী সহায়তার তালিকাভুক্ত করার জন্য ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীগের সভাপতি আনোয়ার খানের বাড়িতে যেতে বলেন । ৬ এপ্রিল মঙ্গালবার বিকেল ৫টার দিকে ঐ ইউপি সদস্যর বাড়িতে গেলে এই সুযোগে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় আমার স্বামী ইস্রাফিল ইউপি সদস্যর বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি দেখে ফেলে। ইস্রাফিল এর প্রতিবাদ করলে আসামীরা আমার স্বামীকে তাদের নিয়ে মারধর করার পরে তাকে আটক করে রাখেন। এর পরে আমি উপায় না পেয়ে গত ৯ এপ্রিল তালতলী থানায় এই ধর্ষনের বিচার চেয়ে ৯/১ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা ধায়ের করি।যার মামলা নংÑ৪/৪১। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দ্বায়িত্ব পায় ওসি তদন্ত ফরিদুল ইসলাম । কিন্তু সে আমাদের কোনো ধরনে সহযোগিতা না করে উল্টা ধর্ষক আনোয়ার খানের পক্ষ নিয়ে আমার স্বামীকে ভয়ভীতিপ্রদর্শনকরে অন্যায়ভাবে বাধ্য করিয়া তারা আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেন। আমি বহুবার তদন্ত কর্মকর্তাকে উক্ত ঘটনা জানালে সে আমার স্বামীকে উদ্ধার করার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন পর্যন্ত আমার স্বামী উদ্ধার করা হয়নি । এই মামলার সুষ্ঠ তদন্তর স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ কোনো পুলিশের অন্য বিভাগকে এ মামলার তদন্ত করতে দিলে সুষ্ঠ বিচার পাবো। অন্যথায় আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবো। আমি এই তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন চেয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছি যাতে ন্যায় বিচার পাই। এদিকে মামলার ১০ দিনেও ধর্ষক ইউপি সদস্য আনোয়ার খান কে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ভুক্তভোগি মেয়ের দিন মজুর বাবা সোবাহান বলেন তদন্ত কর্র্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম হলো ইউপি সদস্য আনোয়ার খানের পক্ষ নিয়ে আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন তোদের মামলা ফাইনাল দিয়ে দিবো। এই মামলায় আনোয়ারের কিছুই হবে না। তোদের জেলের ভাত খেতে হবে । আমি বাবা হিসেবে দাবি করছি যাতে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হলে আর সুষ্ঠু বিচার পাবো। এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম বলেন, বাদী কি জন্য আমাকে পরিবর্তন চায় তা আমি জানি না। আর মামলার আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলতেছে।

 

 


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest