করোনা ভার্সেস বাংলাদেশের মাদকাসক্তি চিকিৎসা

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২০

করোনা ভার্সেস বাংলাদেশের মাদকাসক্তি চিকিৎসা

আলোকিত সময় ডেস্কঃ সারাবিশ্বে এখন করোনার করাল থাবায় জরজরিত , বাংলাদেশও ভালো নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৭২০০০/ কোটি টাকা প্রনোদনা ঘোষনা করেছেন কারা পাবে কারা পাবে না সে বিষয় আলোচনা না করে তুলে ধরছি তাদের কথা যারা নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত জনপদ মাদকাসক্তদের নিয়েঃ বাংলাদেশে সরকারী অনুমতি প্রাপ্ত ৪/৫ শতাধিক মাদকাসক্তি নিয়াময় কেন্দ্র রয়েছে। কোন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে রোগী ভর্তি হয় ৩/৪ মাসের জন্য কিন্ত বর্তমানে রোগী ভর্তি বন্ধ কারন করোনার বিস্তার রোধে , এই মুহুর্তে যেসব প্রতিষ্টানে ২০ জন রোগী আছে আগামী দুইমাস এই লক ডাউন চললে নতুন রোগী ভর্তি করাতে না পারলে বেশীরভাগ সেন্টার রোগী শূন্য হয়ে পরবে তখন সেন্টারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে বড় বড় হাসপাতাল গুলো অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দিচ্ছে না অনেকে বন্ধ করে রেখেছেন, বন্ধ করতে পারেনি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিকগন কারন প্রতিটি সেন্টারে চিকিৎসাধীন রোগী আছে। নতুন রোগী ভর্তির সঠিক দিকনির্দেশনা নেই বা একজন মাদকাসক্ত রোগী সে কি করোনায় এফেক্টেড কিনা জানার উপায়ও নেই সুতারাং দেশ ও জনতার স্বার্থে তারা নতুন রোগী ভর্তি করাচ্ছেন না। তাহলে তারা প্রতিষ্টান চালাবে কি করে আর না পারলে প্রতিষ্টান বন্ধ করে দিলে এইসব মাদকাসক্তরা কোথায় যাবে ? রাস্তাঘাটে ছিনতাই , অপরাধমুলক কাজ বেড়ে যাবে এবং এদের দিয়ে আরো বেশী করোনা সংক্রমনের ভয়তো আছেই , কারন মাদকাসক্তরা ভালোমন্দ বিচার করতে পারে না সহসাই তারা মাদকের জন্য হন্য হয়ে ঘুরবে পথে প্রান্তরে লক ডাউন না কার্ফিউ এটা তাদের মগজে ঢুকবে না। এর ফলাফল কি হতে পারে এটা বলা লাগবে না মজার বিষয় হলো বাংলাদেশের প্রায় সকল প্রকার ব্যাবসা প্রতিষ্টান ব্যাংক লোন পায় , কোন অদৃশ্য কারনে কিনা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের জন্য কোন ব্যাংক লোন নাই । আজব ব্যাপার সরকার সবসময়ই এই সেক্টরটিকে অবহেলার চোখে দেখেছেন সাময়িক সান্ত্বনা বা বাৎসরিক পুরুস্কার এই সেক্টরের কোন বাস্তবগত উপকারে আসে না। তাহলে এই ক্রাইসেস মোমেন্ট উত্তরনের উপায় কি ? ১, যেহেতু প্রতিষ্টান গুলো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরোক্ষভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় অর্থ মন্ত্রনালয়ের সাথে জরুরী ভিত্তিতে কথা বলে বাংলাদেশে ব্যাংককে নির্দেশ দিতে পারে সহজ শর্তে মাদকাসক্তি নিয়াময় কেন্দ্রগুলোকে ব্যাংক লোন যার কোন কিস্তি আগামী একবছরে নেয়া হবে না। ২, সেন্টারগুলোকে জরুরী সার্কুলারের মাধ্যমে সরকারীকরন যেখানে ফাউন্ডার যারা তারা চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করে সম্মানী বা লভ্যাংশ পাবেন শুধু আয় ব্যয় সরকারের অধিনস্থ থাকবে ( অনেকের কাছে খারাপ লাগতে পারে কিন্ত প্রতিষ্টান গুলো টিকে থাকবে) ৩, দ্রুত প্রনোদনা সরকার কর্তৃক প্রদান করা। ৪, দেশের বিভিন্ন বিত্তবানদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এগিয়ে আসা আল্লাহ না করুন একদিন তাদের সন্তান বা প্রিয়জন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারবে না। ৫, ভবিষত এর নিরাপত্তায় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলো কোন বৈদেশিক সাহায্য পায় না কারন তারা এনজিও না এক্ষেত্রে লাইসেন্সকৃত প্রতিষ্টানগুলোকে এনজিও ঘোষনা করা যেতে পারে। ৬। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন দেশের মাদকাসক্তি নিয়াময়কেন্দ্রের সংগঠন গুলোকে সাথে নিয়ে অতিদ্রুত সমস্যাগ্রস্থ সেন্টারগুলোকে সাহায্য হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশে যতগুলো মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্র আছে ৫০/৮০ কোটি টাকা সাহায্য হলে প্রতিষ্টান গুলো বেচে যাবে নতুবা করোনা চলে যাবার সাথে সাথে মাদকাসক্তি চিকিৎসার দড়জা বাংলাদেশে সংকুচিত আমার মতে একদম সীমিত হয়ে পরবে । সৌজন্যে মিরপুর ফোরাম মিরপুর মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের নেটওয়ার্ক। রিকোভারী সহ যারা মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান করেন তারা শেয়ার করুন প্লিজ অনুরোধে এস এইচ আহাম্মেদ সুমন সাধারণ সম্পাদক মিরপুর ফোরাম।

বিঃদ্রঃ সবচেয়ে ভালো উপায় প্রতিটি সেন্টারের বাড়ি ভারার ডিট ডিএনসিতে থাকে আমার ব্যাক্তিগত মতামত ডিট অনুযায়ী বাড়ি ভারা আগামী ৬ মাসের সরকার পরিশোধ করলে সেন্টারগুলো বেচে যাবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest