নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে উৎফুল্ল ও চাঙ্গা নেতাকর্মীরা!!

প্রকাশিত: ৫:০০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৯

নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে উৎফুল্ল ও চাঙ্গা নেতাকর্মীরা!!

এফ এম শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের বহুল প্রতিক্ষিত সম্মেলন আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনকে ঘিরে জেলা আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ।
সম্মেলনে কে হচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তবে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি এ.এন.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, হাতিয়া উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালীর পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিনের নাম শোনা যাচ্ছে।

এদিকে সম্মেলন সফল করতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জেলার ৯টি উপজেলা ও পৌর এলাকার দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরাও।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানান, সম্মেলন সফল করতে তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কমিটির নেতা কর্মীদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। দুই পর্বের প্রথমটির উদ্বোধনী সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে শহিদ ভুলু স্টেডিয়ামে। এরপর দুপুরে দ্বিতীয় পর্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ৪৭১ কাউন্সিলরের ভোট কিংবা মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
আওয়ামীলীগের কাউন্সিলরা তাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় জানান, নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ত্যাগী, দক্ষ, বিতর্কমুক্ত, স্বচ্ছ ও পরিছন্ন ইমেজের নেতাদের এবার প্রাধান্য দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বর্তমান কমিটির নেতাদের কর্মকান্ডের মুল্যায়ন করা হবে।
বর্তমান সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি বলেন, ১৫ বছর ধরে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবা করে আসছি। দলের নেতৃবৃন্দরা চাওয়ার কারণেই তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন।
অপর হেভিওয়েট সাধারন সম্পাদক প্রার্থী শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল বলেন, তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে ছাত্রলীগ রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ২০১৬ সালে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তার দীর্ঘ রাজনীতিতে দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে রেখেছেন। কাউন্সিলররা যদি মনে করেন আমি দলের জন্য কাজ করেছি তবে তারা আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করবেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest