জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু করতে হবে-প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ, মে ২৫, ২০২০

জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু করতে হবে-প্রধানমন্ত্রী
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান |
চীফ রিপোর্টার |
করোনা প্রতিরোধী প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত করোনাভাইরাসকে সঙ্গী করে বাঁচতে হবে, মন্তব‌্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জীবন-জীবিকার স্বার্থে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে হবে।’ রোববার (২৪ মে) সন্ধ‌্যায় গণভবনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাস মহামারি শিগগির দূর হবে না। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না। যত দিন না কোনো প্রতিষেধক, টিকা আবিষ্কার হচ্ছে, তত দিন করোনাভাইরাসকে সঙ্গী করেই হয়তো আমাদের বাঁচতে হবে। জীবন-জীবিকার স্বার্থে চালু করতে হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় সকল দেশ ইতোমধ্যে লকডাউন শিথিল করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, অনির্দিষ্টকালের জন্য মানুষের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে তো নয়ই।’ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বিশেষ তহবিল বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা কার্যকর করা হয়েছে, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা কাজে যোগ দিতে পারেননি, তারাও শতকরা ৬০ ভাগ বেতন পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে এ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা শুরু হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দোকান-পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একদিকে মালিকদের আয় যেমন বন্ধ হয়েছে, তেমনই কর্মচারীরাও বিপাকে পড়েছেন। বেশিরভাগ দোকান মালিকের কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’ ‘আমরা ঈদের আগে স্বাস্থ্যবিধি এবং অন্যান্য নিয়ম-কানুন মেনে কিছু কিছু দোকানপাট খুলে দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছি। যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন এবং যারা দোকানে কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন, আপনারা অবশ্যই নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন। ভিড় এড়িয়ে চলবেন। আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। মনে রাখবেন, আপনি সুরক্ষিত থাকলে আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকবে, প্রতিবেশী সুরক্ষিত থাকবে, দেশ সুরক্ষিত থাকবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। ঝড়-ঝঞ্ছা-মহামারি আসবে, সেগুলো মোকাবিলা করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সঙ্কট যত গভীরই হোক জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎরানো কোনো কঠিন কাজ নয়। এই সত্য আপনারা আবারও প্রমাণ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা এবং সমর্থনে আমরা করোনাভাইরাস মহামারির আড়াই মাস অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সমর্থ হয়েছি। যত দিন না এই সঙ্কট কাটবে, তত দিন আমি এবং আমার সরকার আপনাদের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।’

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest