জাহাঙ্গীর ইসলাম,বগুড়া প্রতিনিধি চারশো বছরের ঐতিহ্যবাহী বগুড়ার শেরপুরের ‘কেল্লাপোশী মেলা’ এবার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে হচ্ছে না। তিথি অনুযায়ী প্রতিবছর জৈষ্ঠ্য মাসের দ্বিতীয় রোববার থেকে তিনদিন চলে এ মেলা। তিনদিনের মেলা হলেও মেলা উপলক্ষ্যে ৫/৬ দিন আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামে চলে জামাই বরনের উৎসব। মেলায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। এলাকাবাসী জানান, বছরের জৈষ্ঠ্য মাসের দ্বিতীয় রোববার হিসাবে ২৪ মে থেকে মেলার শুরু দিন ক্ষণ থাকলেও এবছর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কেউ মেলা আয়োজনের চেষ্টা করেনি। ফলে প্রায় ৪শ বছরের পুরানো এই মেলা দীর্ঘদিন পরে হচ্ছে না। বাগড়া এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি জানান, এরশাদ সরকারের আমলে একবার বিবাদের কারণে মেলা বন্ধ ছিল। কিন্ত এ বছর মেলা এলাকায় একটি দোকানও বসেনি। তাই এলাকাবাসীর মনে নেই মেলার আনন্দ। মঙ্গলবার (২৬মে) বেলা ১০টার দিকে কেল্লাপোশী মেলা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ফসলী জমি আর পুকুরপাড় নিরব হয়ে পড়ে আছে। কথিত গাজীকালুর জিয়ারতের স্থানও জনমানবশুন্য। উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের ‘ কেল্লা’ ও পোশী গ্রামের মাঝখানে প্রতিবছর এই সময়ে বসে এই মেলা। মেলার মূল আকর্ষণ বড় মাছ আর মিষ্টি। এলাকায় এই মেলা জামাই মেলা নামেও পরিচিত। নতুন জামাইকে এই মেলায় দাওয়াত দেয়া হয়। জামাই সাধ্যমত বাজার করে শ্বশুড়বাড়িতে যায়। এছাড়া এই মেলা মাদারের মেলা নামেও পরিচিত। মেলায় মাছ,মিষ্টি ছাড়াও যাত্রা, সার্কাস, মোটর সাইকেল খেলা, যাদুখেলা, শিশুতোষ খেলা, মসলাপাতি, কাঠের ফার্ণিচার এর শত শত দোকান বসত প্রতি বছর। তবে এ বছর মেলা এলাকায় একটি দোকানও নেই। এলাকাবাসী জানান, প্রতিবছর মেলার সময় মাঝিড়া থেকে ঘোড়ার গাড়ি আসতো। এবার তাও আসেনি। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো. হুমায়ুন কবীর জানান, এ বছর মেলা আয়োজনের জন্য কেউ আবেদনও করেনি।