চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ বিশেষ প্রতিনিধি, দিনাজপুর
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েলুর রহমানের বিরুদ্ধে আরএমপি মহিলার রাস্তার চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দিয়ে নগদ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ করেছে এক অসহায় মহিলা। ২৩ই মে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বরাবর সহ দুর্নীতি দমন কমিশন দিনাজপুর, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বীরগঞ্জ, উপজেলা সমাজসেবা বীরগঞ্জ অনুলিপি হিসেবে উপজেলার ২নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চাপাপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো.জুয়েল ইসলামের স্ত্রী মোছা.পারুল বেগম উক্ত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী ইউনিয়নের সরকারি আদেশে আরএমপি মহিলা পদে ১০জন মহিলা নিয়োগ হয়। সে পরিপেক্ষিতে অত্র ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জুয়েলুর রহমান এর নির্দেশে ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উক্ত আরএমপি পদে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে মোছা.পারুল বেগমের নিকট হইতে গত প্রায় ৩ মাস পূর্বে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাইলে সর্বসাকুল্যে চাকুরী হবে মর্মে ধার দেনা করে পারুল বেগম ৪২ হাজার টাকা অভিযুক্তদের নগদ বুঝে দেয়। কিন্তু পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতার বলে অন্য আরেকজনের নিকট হতে বেশি টাকার বিনিময়ে উক্ত পদে পারুল বেগমের স্থলে একই এলাকায় মফিজ উদ্দিনের মেয়ে মফিজা খাতুনকে চাকুরী দেন। পারুল বেগম লোকমুখে তার চাকুরি হবে না এই সংবাদ শুনে ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদুল কে বললে তিনি বলেন যে আমি কিছু জানি না। পারুল বেগম কোন উপায় না পেয়ে ৮ নং ওয়ার্ড সদস্যদের কাছে গেলে তিনি বলেন, হাতে তো ওই টাকা নাই তুমি চেয়ারম্যানের কাছে যাও। পারুল বেগম উক্ত টাকা উদ্ধারের আশায় চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি পারুল বেগমকে কোনো রকমের পাত্তা না দিয়ে উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। অভিযোগে আরও জানা যায়, অত্র ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জাহিরুল ইসলাম এর স্ত্রী নূরালা খাতুন পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ৩০ হাজার টাকা অভিযুক্ত ৭নং ওয়ার্ড সদস্য রশিদুল ইসলাম ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মিস্টার আলী চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় এবং পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের নিজস্ব মৌজার বাড়ির পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর নিকট হইতে বেশি টাকার বিনিময় উক্ত পদে চাকুরি দেন। এমতাবস্থায় পারুল বেগম অদ্যবধি ৪২হাজার টাকা উদ্ধার করতে না পেয়ে পরিবার-স্বজন নিয়ে অসহায় ও মানবেতর দিনযাপন করছে। এবিষয়ে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েলুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও যাওয়া কথা বলেন। পরবর্তীতে তাঁকে বারবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি অথচ ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মিস্টারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান অফিসেই ছিলেন বলে জানান। অন্যএক অভিযুক্ত ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য রশিদুল ইসলামের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তাঁকেও পাওয়া যায় নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.ইয়ামিন হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্ত করা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।