ঢাকা ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২০
আলোকিত সময় ডেক্সঃ২৩ মে ২০২০।একটি বেসরকারী টেলিভিশনের একজন বিখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্বের কাছে একটি ফোনকল আসে। জানা যায় তার বাবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। এই দূর্যোগে প্রকৃতির এ এক নির্মম আঘাত! আমাদের কিইবা করার আছে! যাই হোক, এখন ধৈর্য ধরে সহি সালামতে লাশ দাফন করতে হবে। কিন্তু লাশ পরিবহন ও দাফনের জন্য আরো কিছু টাকা দরকার এই মুহুর্তে। সাথে সাথে তাকে পাঠানো হয় তাঁর বাবার মৃত্যুসনদের একটি কপি এবং টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে দেয়া হয় একটি বিকাশ নাম্বার।
ফোনকল, মৃত্যুসনদ, বিকশ নাম্বার এসবই করেন শাহজাদা। পুরোনাম মোঃ শাহজাদা হাওলাদার। শাহজাদা হাওলাদার বেশ নতুন নতুন কৌশলে অভিনব পন্থায় এভাবেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অবিকল অরিজিনাল ডকুমেন্টের মতো ভূয়া মৃত্যুসনদ তৈরি করে নিকটাত্নীয় মারা গেছে বলে লাশ দাফনের জন্য স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল বেশকিছু দিন ধরে।
শাহজাদার প্রতারনার এই কৌশলের কথা চুপিসারে চলে আসে পুলিশের কাছে। এই কথার সুত্র ধরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা রমনার জোনাল গোয়েন্দা টিম কে নিবিড় অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেন। চলতে থাকে গোয়েন্দা পুলিশের সার্বক্ষনিক গোপন তৎপরতা। চলতে থাকে প্রযুক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও নিরন্তন বিশ্লেষন। অবশেষে গোপন, প্রকাশ্য ও প্রযুক্তির বিন্যাশ সুডুকুর মতো মিলেয়ে ফেলে রমনার জোনাল গোয়েন্দা টিম।
০৩ জুন ২০২০। সেই সূত্রের ছকে জীবন্ত মানুষের মৃত্যু সনদ বানিয়ে প্রতারণাকারী মো: শাহজাদা হাওলাদারকে রামপুরা থানাধীন রাজধানীর একটি বাসা থেকে একাধিক ভূয়া মৃত্যুসনদ, ডাক্তারের সিল এবং কয়েকটি মোবাইল সিম সহ গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় এই কাজ সে বেশ কিছুদিন যাবত করে আসছে। এই ঘটনার কিছুদিন আগে সে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এর একজন উপদেস্টা কেও একই ভাবে প্রতারণা করে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানান শাহজাদা। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন। যথানিয়মে তার বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ছাড়াও আরও কেউ এ প্রতারণার সাথে জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এভাবেই ১২ দিনের মাথায় নির্মোহ নিরলস পরিশ্রম করে ভুয়া মৃত্যুসনদের মাধ্যমে এই বিকাশ প্রতারক কে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন পুলিশ।
সর্বদাই জনগনের পাশে, বাংলাদেশ পুলিশ।
BANGLADESH POLICE MEDIA,PHQ
[04 JUN 2020]
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST