ডাক্তারদের দায়িত্বে অবহেলা ও আশোভন আচরন

প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২০

ডাক্তারদের দায়িত্বে অবহেলা ও আশোভন আচরন

সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেএক্সের ডাক্তারদের দায়িত্বে অবহেলা ও রোগীর স্বজনদের সাথে আশোভন আচরন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইমার্জেন্সিতে কর্মরত দুইজন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেলে এ অশোভন আচরন করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেএক্সের বড় বাবু নামে ক্ষেত ক্যাশিয়ার মোহাম্মদুল্লাহ।

গত ৫ জুন সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেএক্সে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে তার পরনে ছিলনা কোণ মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট। সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেএক্সের অনেক কাজেই তিনি দাপটের সাথে নাগ গলান বলে জানা যায়। ডাক্তার ও নার্সরা দায়িত্বে অবহেলা করলে রোগী বা রোগীর স্বজনরা প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে অশোভন আচরণ নিত্যদিনের ধটনা বলে জানায় কিছু রোগীর স্বজনরা। আর ডাক্তার ও নার্সদের সাপোর্টে এগিয়ে আসে দাপুটে মোহাম্মদুল্লাহ। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পলাশ কুমার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় মোহাম্মদ উল্লাহ অনেক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জেন অফিসসহ কাজ করে আসছে। পলাশ কুমার জানান মোহাম্মদ উল্লাহ তার আগেই সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেএক্সে যোগদান করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পলাশ কুমার ঘটনা শুনে লিখিত অভিযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় মোহাম্মদুল্লার সাথে আছে আরেক নায়েক হাবিল যিনি মেডিক্যাল অফিসার পরিচয় দিয়ে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসারের চেয়ারের বসে দেদারছে হাওয়া খান এবং অশোভন আচরণ করে হাসপাতালে আগত ব্যাক্তিদের সাথে। আর রোগিদের ড্রেসিং ও সেলাই কাজ করায় ওয়ার্ড বয় ও সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ডি এম এফ কিন্তু হাকিয়ে বেড়াচ্ছেন এমবিবিএস ডাক্তার মেডিক্যাল অফিসার। আরও জানা যায় হাবিল শুধু সাধারন রোগির স্বজনদের সাথেই নয় বিজ্ঞ আইনজীবিদের সাথেও খারাপ আচরন করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য বিজ্ঞ আইনজীবি সফর উদ্দিন সবুরের সাথে অভদ্র ব্যবহার ও অশোভন আচরন করেছে। যা আরএমও সজীব পরে মিলমিশ করে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ, সভাপতি জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাইন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেএক্সে যায় কিছু তথ্যের জন্য। হাসপাতালে প্রবেশের পথে জীবানুনাশক মেশিন, তিনি মেশিনের ভিতর গিয়ে দেখেন মেশিন বন্ধ। বের হয়ে ইমার্জেন্সি রোমে গিয়ে দেখেন দুইজন বসে খোশালাপে ব্যস্ত এক স্থানীয় ব্যাক্তির সাথে আরেক জন রোগির সেলাই করছে। সুলতান মাহমুদ জিজ্ঞাসা করলেন ইমার্জেন্সির মেডিক্যাল অফিসার কে? একজন উত্তরে বলল তা আপনার প্রয়োজন কি? আপনি কে আগে বলেন? তিনি তখন তার ভিজিটিং কার্ড বের করে তাদের টেবিলে রাখলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন জীবানুনাশক মেশিন বন্ধ কেন ভাই? প্রতিউত্তরে বললেন এটা কর্তৃপক্ষ জানে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নাম্বার চাওয়াতে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদদের সাথে অশোভন আচরন করলে তিনি সিভিল সার্জেন ইমতিয়াজ আহমেদকে ঘটনা জানান। ইমতিয়াজ আহমেদ আরএমও সজীব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানাতে বলেন। সিভিল সার্জেনের কথা মত আরএমও সজীবকে কয়েক দফা কল করে পাওয়া যায়নি। পরে সিভিল সার্জেন ইমতিয়াজকে আবার কল করলে তিনি লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।

ঘটনাটি জানানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাকেও কল করে পাওয়া যায়নি। তবে ইউনো সাইদুল ইসলাম সন্ধার পর কল বেক করে অনুতপ্ত প্রকাশ করেন এবং ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবেন বলেছেন।

উল্লেখ্য, ৪ জুন বৃহস্প্রতিবার সন্ধায় সাংবাদিক সুলতান মাহমুদদের মাতা অসুস্থ হলে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইমার্জেন্সির ডাক্তার দায়িত্ব অবহেলা করে প্রকৃত সেবা না দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন কিন্তু কোন হাসপাতালে রেফার্ড করেনি বিধায় ঢাকায় কোন হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পেরে ভাগিনা ও ভাতিজা সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে রাত ১২টার দিকে কল করলে মায়ের অসুস্থার কথা অবগত হন। তিনি তাৎক্ষনিক বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হন। ভোর ৫টায় তার মাকে নিজ বাসায় ফেরত নিয়ে আসে ভাগিনা ও ভাতিজা। মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাই সকল আত্নীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভাখাংকীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন সাংবাদিক ও সংগঠক সুলতান মাহমুদ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest