মোঃ মোতাহার হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মোবাইল ফোন চুরির দায়ে গ্রাম্য সালিসে দুই শিশুকে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। শনিবার গভীর রাতে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। সে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওই গামের সোহরাব আলীর ছেলে। র্যাব-১৩ কোম্পানি কমান্ডার লে.কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষটি নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনার পর জহিরুল আত্মগোপনে ছিল। অভিযান চালিয়ে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলার কাজির হাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে এই মামলার প্রধান আসামী। তাকে পীরগঞ্জ থানায় হস্তাান্তর করা হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় এই মামলার আরেক আসামী জিয়াবুলকে গ্রেফতার করে জেলা ডিবি পুলিশ। উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মোবাইল ফোন চুরির দায়ে গ্রাম্য সালিসে দুই শিশুকে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামের ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পীরগঞ্জ উপজেলার গৃহবধু শরিফা জানান স্বামীর বড় ভাই মোতালেব আলী তাকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি হননি। শেষে তাকে কুপোকাত করতে ১১-১২ বছর বয়সী ছেলে সুমন ও চাচাতো দেবরের ছেলে কামরুল ইসলামকে গত ২২শে মে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ আটক করে গ্রামে সালিশ বৈঠক আয়োজন করে। এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম নেতৃত্বে মোতালেব আলীসহ আরও কয়েকজন আমার ছেলে ও কামরুলের হাত পা বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে ওই দুই শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই ভিডিও চিত্র ক্যামেরায় ধারণ তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে নির্যাতনকারীরা। কিন্তু তাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে টাকার বদলে বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে যায় তারা।