নলছিটির সুগন্ধা নদীতে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব, নীরব প্রশাসন।

প্রকাশিত: ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২০

নলছিটির সুগন্ধা নদীতে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব, নীরব প্রশাসন।

শফিউর রহমান কামাল বরিশাল ব্যুরো ঃ ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে অবস্থিত সুগন্ধা নদীতে অবৈধভাবে একটি চক্র অনেকদিন ধরে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলন করে আসছে। যার প্রভাবে নদী পারের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। চক্রটি প্রকাশ্যে এভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে নদীর দুই পাড়ে অবস্থিত বসবাসরত মানুষরা। নদী পাড়ের মানুষ বলছে এভাবে দিনের পর দিন ছোট্ট এই নদীতে বালু উত্তোলন করতে থাকলে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে সেই সাথে আমাদেরও নদী ভাঙ্গনের কারণে নিজেদের বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। সরেজমিনে গিয়ে সাংবাদিকরা দেখতে পায় নদীর মাঝ বরাবর বড় আকারের দুটি ড্রেজার দিয়ে দেদারছে বালি উত্তোলন করছে অবৈধ দুটি চক্র, ড্রেজার এ কর্মরত দুজন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এবং ড্রেজারের একজন মালিক আলামিন কে ফোন দিলে তার তাকে পাওয়া যায়নি, অন্য একজন মালিক ইমনকে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন ভাই কি করবো এখন তো সব দিকের অবস্থায় খারাপ আমি জানি আমার ব্যবসাটা অবৈধ অনেক টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা টা অনেক বছর ধরে পরিচালনা করতেছি, তাই এখন নিরুপায় হয়ে মাঝে মাঝে অবৈধভাবে এরকম বিভিন্ন জায়গায় বালুউত্তোলন করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন একটা রাস্তা মেরামত করার জন্য নাকি বালি উত্তোলন করছেন। পরিশেষে তিনি বরিশালের একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক তার বন্ধু পরিচয় দিয়ে ফোনটি কেটে দেন। সরেজমিনে গিয়ে আরও জানা যায় ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় সরকারিভাবে কোন বালুমহাল ইজারা নাই। এবং স্থানীয়দের দাবি দ্রুত যদি এই অবৈধ বালি উত্তোলনের কাজ করিয়ে নেয়া না হয় তাহলে কালিজিরা ব্রিজ ভাঙ্গনের মুখে পতিত হবে। এই চক্রের অবৈধ বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে বিগত দিনে অনেক পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তারা কিসের জোরে এত বড় একটি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করতেছে তা স্থানীয়দের বোধগম্য নয়। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত এই চক্রটি বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে নদীটি রক্ষা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে প্রশাসন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest