নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৩:১৬ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২৪

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সাগর হোসাইন, বদলগাঁছী(নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার নওগাঁ সদর হাসপাতাল মোড়ে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপুর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়। এদিকে সকাল থেকে ঔষদের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করায় ভোগান্তীতে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। দোকান বন্ধ পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।

সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপু বলেন, চিকিৎসকগণ ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস ও ফুড সাপ্লিমেন্টস লিখে থাকেন। ঔষধ ব্যবসায়ীগণ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে। ব্যবসায়ীদের কোন অপরাধ না থাকলেও আমাদের দুইজন সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন মামলা করে। গত ১৬ এপ্রিল রাশেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অপরজন আবুল কালাম আজাদ মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মামলায় তার ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদন্ডের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ঔষধ ও কসমেটিকক্স আইন-২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করা হবে।

ঔষধ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন, আমরা মানবসেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছি। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে। অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে আমাদের সদস্যদের হয়রানি করছে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমেছি। এ কঠোর আইন সংশোধনের দাবী জানাচ্ছি।

নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার বাসীন্দা মুনি আরা বলেন, আমার এক বছরের ছেলে মুহিত গত কয়েক দিন থেকে বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ভর্তি করে নেয়। একটি ব্যবস্থাপত্রে চার পদের ঔষধ লিখে দেয়। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দোকানে এসে দেখি সব দোকান বন্ধ। আধা ঘন্টা ধরে বিভিন্ন দোকানে গিয়েও ঔষধ পাওয়া যায়নি। ঔষদের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।

জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাটের বাসিন্দা নিমাই চন্দ্র বলেন, গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দোকানে এসে দেখি সবগুলো বন্ধ রয়েছে। আমার মতো অনেকেই ঔষধ নিতে এসে দোকান বন্ধ পেয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যা সমাধান চাই।

বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest