কুয়াকাটা সৈকতের বালুচরে আটকে যাওয়া কচ্ছপটিকে সমুদ্রে অবমুক্ত

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২০

কুয়াকাটা সৈকতের বালুচরে আটকে যাওয়া কচ্ছপটিকে সমুদ্রে অবমুক্ত

কুয়াকাটা – প্রতিনিধি।
পায়ে আঘাত পেয়ে কুয়াকাটা সৈকতে এসে বালুচরে আটকে গেছে বিশাল আকৃতির একটি কচ্ছপ। কচ্ছপটির ওজন প্রায় ২৫ কেজি। কচ্ছপটির ডান পাশের একটি পা (হাতা) নেই। ধারণা করা হচ্ছে জালে পেচিঁয়ে ডান পাশের সামনের পা কেটে গেছে অনেকদিন আগে। এখনও সেখানে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সৈকতের জিরো পয়েন্টের বালুচরে হেটে উঠে আহত কচ্ছপটি আটকে যায়। আটকে যাওয়া আহত কচ্ছপটিকে দেখতে পর্যটকসহ স্থানীয় শতাধিক মানুষ ভীড় করে। কচ্ছপটিকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় ফটো সেশন ও সেলফি। বিশাল আকৃতির এই কচ্ছপটির সাথে ছবি তুলে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে অনেককেই দেখা যায়।
বালুচরের জিও টিউবের সাথে আটকে যাওয়া আহত কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল কুয়াকাটা বার্তার ফটো সাংবাদিক কেএম বাচ্চু। তাকে এতে সহযোগিতা করেন ট্যুরিজম ব্যবসায়ী আবুল হোসেন রাজু ও কেএম জহির। তাৎক্ষনিক তারা ট্যুরিষ্ট পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন । ট্যুরিষ্ট পুলিশ বনবিভাগ ও নৌ পুলিশকে খবর দেন। পরে মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট এর সাইন্টিফিক প্রিন্সিপাল অফিসার আমিরুল ইসলাম,ট্যুরিষ্ট পুলিশের ইনস্পেক্টর মোঃ বদরুল কবির,মোঃ মিজানুর রহমান,নৌ পুলিশের ইনচার্জ মোঃ মাহমুদ আলী,কুয়াকাটা বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা সামসুল আলম,ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার এর উপস্থিতিতে আটকে পড়া আহত কচ্ছপটিকে সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়।

ফটো সাংবাদিক কেএম বাচ্ছু বলেন, সকালে পর্যটক শুন্য সৈকতে তিনি ঘোরাঘুরি করছিল। এমন সময় তিনি দেখতে পান একটি বিশাল আকৃতির কচ্ছপ সৈকতের জিও টিউবে পাশ ঘেষে বালু চরে আটকে আছে। প্রথমে তিনি আহত কচ্ছপটিকে পানি দিয়ে সূস্থ্য রাখার চেষ্টা করেন। কচ্ছপটির সামনের দিকের ডান পাশের একটি হাতা নেই। সেখানে এখনও ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। যার ফলে আহত কচ্ছপটি বালুতে আটকে যায়। এসময় তিনি ট্যুরিজম ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আবুল হোসেন রাজু ও কেএম জহিরের সহযোগিতায় তিনি কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে টুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
টোয়াক এর প্রেসিডেন্ট ট্যুরিজম ব্যবসায়ী রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটা উপকুলের সৈকতে এক সময় অসংখ্য বিশাল আকৃতির কচ্ছপ ডিম পারতে বালুচরে উঠতো। তখন সৈকতের পাশে বনবিভাগের সংরক্ষিত বনের পাশে এসে নিরাপদে ডিম পেরে মাটি দিয়ে ঢেকে আবার সমুদ্রে চলে যেত। বন ধ্বংস হয়ে যাবার পাশাপাশি সৈকতে জনসমাগম বেড়ে যাবার পর এসব বড় আকারের কচ্ছপ এখন দেখা যায় না। তার মতে আহত হয়ে ঢেউয়ের ঝাপটায় সৈকতে আশ্রয় নিতে উঠতে পারে কচ্ছপটি ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest