বরিশাল চরকাউয়া’য় তথ্য সংগ্রহ করতে বাধা,হামলার স্বীকার সাংবাদিক ! সচেতন মহলের নিন্দা

প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২০

বরিশাল চরকাউয়া’য় তথ্য সংগ্রহ করতে বাধা,হামলার স্বীকার সাংবাদিক ! সচেতন মহলের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিনিধি।।
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক তারুন্যের বার্তা পত্রীকার সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাগেছে গতো মঙ্গলবার চরকাউয়া নয়ানী গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য মটর সাইকেল নিয়ে রাত ১০ টার দিকে ঘটনাস্হানে রওয়ানা দেন সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম।

হঠাৎ শাহ্ জালাল হাওলাদারের বাড়ির সামনে কালভার্টের উপর বসেই সন্ত্রাসী সুলতান হাওলাদার, আফজাল হোসেন চকিদার, বাচ্চু হাওলাদারসহ আরও ৩-৪ জন মিলে সাংবাদিক আশিককে তথ্য সংগ্রহের কাজে বাধা দেয়। একপর্যায় সাংবাদিক আশিক ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে তর্কের সৃষ্টি হলে সন্ত্রাসী সুলতান তাকে এলোপাতারি কিল ঘুষি মারতে থাকে।

এদিকে সন্ত্রাসী আফজাল ফায়দা লুটতে কর্তব্যরত সাংবাদিক আশিকের পকেটে থাকা গুরুত্বপূর্ন কাগজ, অফিসের পেনড্রাইভ ও প্যান্টের পকেটে থাকা সাড়ে ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সাংবাদিক আশিক ডাক চিৎকার করলে স্হানীয় লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক আশিক বলেন, গতো মঙ্গলবার রাতে নয়ানী গ্রাম থেকে মারামারির বিষয়ে ফোন করলে আমি তথ্য সংগ্রহের জন্য সেখানে যেতে চাইলে সন্ত্রাসী সুলতান হাওলাদার তার বাহিনী নিয়ে আমার উপর হামলা করে, এবং তার স্ত্রী কমলা বেগম ধারালো দা নিয়ে আমাকে কুপিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছে। আমি নিজেকে বাচাতে ডাক চিৎকার করি এবং স্হানীয় লোকজন আমাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করে।

তিনি বলেন, এই সুলতান তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাকে মারতে চেয়েছিলো। কিন্তু আজ আমি স্হানীয়দের সহযোগীতায় বেচে গেছি। এ বিষয়ে নয়ানী এলাকার লোকজনকে জিগ্গেস করলে তারা নাম না প্রকাশ করা শর্তে বলেন, সুলতান এলাকায় বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে।

আমরা মনে করি সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে যদি এরকম সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয় তাহলে সমাজ থেকে সঠিক বিচার উঠে যাবে। এদিকে আশিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকমহলসহ সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা। তারা আশিকের উপর হামলার প্রতিবাদে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন, সেই সাথে আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুলতান হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশিক আমাকে গালি দিয়েছে বলেই ওকে থাপ্পর মেরেছি, তাছাড়া আশিকও আমায় মেরেছে, যার ক্ষত আমার শরীরে বিদ্যমান আছে। এ বিষয়ে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক অফিসারদের পাঠিয়েছি এবং অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলতেছে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যাবস্হা নেয়া হবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest