ঢাকা ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
মেহেদি হাসান মুবিন মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৬ টি ইউনিয়নের শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয় কারিগররা। গত কয়েক দিন যাবত ভোরবেলা কুয়াশা জমে থাকছে ঘাসে লতা- পাতায়। রাতে কিছুটা শীত অনুভূতি হচ্ছে। পুরোপুরি শীত শুরু না হলেও অনুভূতি হচ্ছে শীতের আমেজ। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের জন্ম হলেও পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীত মৌসুম হিসেবে বিবেচিত হয়। উপজেলার হাজার হাজার মানুষ শীত মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে হিড়িক পড়ে গেছে লেপ-তোষক বানানের দোকানে। মির্জাগঞ্জের মাধবখালী, আমড়াগাছিয়া,মির্জাগঞ্জ, দেউলী-সুবিদখালী, কাকড়াবুনিয়া, মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের অত্যন্ত অঞ্চলের কারিগররা ইতিমধ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্রেতাদের আগমনের জমজমাট হয়ে পড়েছে লেপ-তোষকের দোকান গুলো। তবে মির্জাগঞ্জ উপজেলা শহরে তেমন শীতের আমেজ পাওয়া না গেলেও পায়রা নদীর পাড়ের মানুষ হালকা শীতের আমেজ অনুভব করছে। ভোর রাতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ার দৃশ্য গত দুই সপ্তাহ ধরে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ কারনে পায়রা নদী পাড়ের লোকজনের গায়ে উঠতে শুরু করেছে হালকা কিংবা মাঝারি ধরনের গরম শীতের কাঁথা। অনেক পরিবারের লোকজন তাদের বাক্স ভর্তি রাখা লেপ-তোষক বের করে মেরামত করছে। আবার অনেক পরিবার নতুন করে তৈরি করছে লেপ-তোষক। বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে শীতের পুরাতন কাপড়-চোপড় উঠতে শুরু করেছে। সুবিদখালী বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মোঃ সুমন জানান, প্রতিটি ভাল লেপ ৮শ’ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকা এবং প্রতিটি ভালো তোষক ১হাজার টাকা থেকে ১৪শ’ টাকা পর্যন্ত আমরা বিক্রি করে থাকি। এছাড়াও বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোষক বালিশ তৈরি করে গ্রামাঞ্চলে বিক্রি করা হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে তুলা ও কাপড়ের দাম বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণে একটু অর্ডার বেশি হচ্ছে
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST