কিছু সুশীল, গণতান্ত্রিক পরিবেশে গণতন্ত্র খুঁজে পায় না | প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২০

কিছু সুশীল, গণতান্ত্রিক পরিবেশে গণতন্ত্র খুঁজে পায় না | প্রধানমন্ত্রী

মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান |
ঢাকা |

এক শ্রেণির সুশিল সমাজের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী, অনেকেই গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ান। কিন্তু তারা গণতন্ত্র খুঁজে হয় জরুরী অবস্থা যখন জারি হয় তখন, অথবা মিলিটারি ডিকটেটর আসলে তখন তারা গণতন্ত্রের স্বাদ পান। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিবেশে তারা গণতন্ত্র পায় না। তাদের চরত্রিটা হচ্ছে চাটুকারিতা করা, তোষামোদি করা। যারা এভাবে হঠাৎ করে ক্ষমতা দখল করে তারা এই তোষামোদকারীদেরকে হায়ার (ভাড়া) করে। কিন্তু সত্যিকার গণতান্ত্রিক ধারা যখন থাকে তখন এদের মূল্য থাকে না। তখন যতই বুকে লেখে রাখুক ইউজ মি অথবা আমাকে ব্যবহার কর। গণতান্ত্রিক সরকার তো তাদের ব্যবহার করবে না। রোববার (৩০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা। জাতির পিতার নেতৃত্বে যুদ্ধ বিধস্ত স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অনুমোদন লাভ পায়। ১২৬টা দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃত দেয়। জাতিসংঘ, ওআইছি, কমনওয়েলথসহ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ পাই। আন্তর্জাতিক সকল সংস্থায় বাংলাদেশ তার সদস্য পদ অর্জন করে এত অল্প সময়ের মধ্যে কোন দেশ এভাবে অর্জন করতে পারেনি। জাতির পিতার নেতৃত্বে ছিল বলে এটা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এত কিছু পরেও কিছু লোক তো কিছুই নাকি হয়নি। কোন উন্নয়নই নাকি হয়নি কোন কিছুই নাকি করেননি। সেই কথা বলা লেখা শুরু করে। ইয়াহিয়া খান যা করেছিল জিয়াউর রহমানও তাই করেছে এরশাদও তাই করেছে। গণতন্ত্র মুখে ছিল কিন্তু বাস্তবে কি ছিল? জিয়াউর রহমান ৭৫ পরবর্তি ক্ষমতায় আসার পর আমাদের পার্টির কত মানুষ, তাদেরকে সে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, এক একজনকে তুলে নিয়ে গেছে খবরও পাইনি। সেই সাথে একটার পর এক ক্যু হয়েছে। সেনাবাহিনীর হাজার হাজার সদস্য, অফিসার এবং যারা বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা প্রত্যেকটা মুক্তিযোদ্ধা অফিসার যারা রনাঙ্গণে যুদ্ধ করে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছে তাদেরকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। জেলাখানায় চার জাতীয় নেতার হত্যা। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জিয়াউর রহমানের যেন আলাদা একটা রাগই ছিল। সেনা অফিসার যে কয়জন সবাইকে হত্যা করেছে এবং সৈনিকরা অনেকে জানতই না তার কি অপরাধ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতিরাতে ৮-১০ টা করে ফাঁসি হত। তাদের চিৎকারে কারাগারের আকাশ বাতাস ভারি হত। এমন দিন নাই জিয়াউর রহমানের হাতে মানুষের মৃত্যুদণ্ড হয়নি বা তাদের মারেনি। এভাবে সারাদেশে একটা খুনের রাজস্ব কায়েম করেছিল। তার উপর জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। এখানে গণতন্ত্রটা কোথায়? মার্শাল ল অর্ডিন্যান্স জারি করে যারা ক্ষমতায় আসে তারা গণতন্ত্র দিতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা, জনগণের পেটে খাবার জোগাড় করা, তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ এটাই তো তাদের মূল লক্ষ্য। আর একমাত্র গণতন্ত্রিক সরকার হলেই সেটা সম্ভব। বাংলাদেশের মানুষ ৭৫ এর পর প্রথম উপলবদ্ধি করেছে যখন আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর সরকার গঠন করেছে তখনই তারা বুঝতে পেরেছে অন্তত সরকার যে তাদের সেবক তাদের সেবা করে তাদের কল্যাণে কাজ করে একমাত্র তখনই তারা উপলবদ্ধি করেছে। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন আমরা সেই আদর্শ বুকেই নিয়েই কাজ করি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest