নলছিটিতে হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯

নলছিটিতে হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান
হাসান আরেফিন, নলছিটি প্রতিনিধি ঝালকাঠির নলছিটি হানাদার মুক্ত দিবস পালন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে নলছিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় । এসময় নলছিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়র মাহবুবুল আলম খান মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী নলছিটি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সম্বিলিত মুক্তিযুদ্ধ সংখ্যা নামে একটি ম্যাগাজিন তুলে দেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার তাজুল ইসলাম চৌধুরী দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ওহায়েদ কবির খান, খন্দকার মুজিবুর রহমান, প্রমুখ। এর আগে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে শহীদের স্বরণে বধ্যভূমিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শহরে একটি র‌্যালী বের করা হয়। জানাযায়, ১৯৭১ সালের এইদিনে নলছিটি হানাদার মুক্ত হয়। নলছিটির মুক্তিযোদ্ধাদের চতুর্মুখী আক্রমনে সম্পূর্ণ পরাস্ত হয়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানী দোসররা। হানাদার বাহীনিকে বিতাড়িত করে নলছিটির আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় মুক্তির গান। বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে মুক্তিযোদ্ধাসহ উপজেলার সব মানুষ। নলছিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার তাজুল ইসলাম চৌধুরী দুলাল জানান, যুদ্ধকালীন সময়ের নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ জলিল এর নির্দেশে নলছিটি থানা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার বেইজ কমান্ডার নিযুক্ত হন বর্তমান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সেকান্দার আলী মিঞা। তার নিদের্শে যুদ্ধকালীন বিভিন্ন সময়ে থানা শহরসহ ঐতিহাসিক চাচৈর ও শীতলপাড়া রনাঙ্গনে মুক্তিবাহীনিরা যুদ্ধে অংশ নেন। ওইসব সম্মুখযুদ্ধে শতাধিক পাকিস্তনী হানাদার সৈন্য ও রাজাকার মারা যান। একই সাথে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আউয়াল খান, আলতাফ হোসেন, মো. কবির, আলাউদ্দিন, আব্দুল মালেক, করম আলী, আক্কেল আলী প্রমুখ। অবশেষে ৭ই ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা নলছিটি থানা রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমন চালিয়ে পাকিস্তানীদের অনুগত পুলিশ ও শান্তিকমিটির চেয়াম্যানসহ দেড় শতাধিক রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পন করে। নলছিটি হানাদার মুক্ত হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধাদের ওই চৌকস দলটি বরিশাল সদর মুক্ত হওয়ায় দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest