নবাবগঞ্জের সীতাকোর্ট বৌদ্ধ বিহারের বেহাল অবস্থা, সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০

নবাবগঞ্জের সীতাকোর্ট বৌদ্ধ বিহারের বেহাল অবস্থা, সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

মোঃ হাসিম উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধি।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ঐতিহাসিক নিদর্শন সীতারকোট বৌদ্ধ বিহারের বেহাল অবস্থা। সংস্কারের অভাবে ভেঙ্গে যাচ্ছে মুল স্থাপনার বিভিন্ন অংশ। সীমানা বেষ্টুনী না থাকায় পরিনত হয়েছে চারন ভূমিতে। দীর্ঘদিনেও দর্শনার্থীদের জন্য করা হয়নি সৌন্দর্য বর্ধন কাজ। তাই পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সৌন্দর্য বর্ধন কাজ সহ নির্দশনটি রক্ষায় দ্রæত সংস্কার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের শালবনের সংলগø উপজেলার ফতেপুর মাড়াষ মৌজায় প্রায় ৩ একর ভুমির উপর অবস্থিত সীতার কোর্ট বিহার। জনশ্রæতি রয়েছে রামের পতœী সীতাকে পঞ্চবটীর বনের গভীরে বনবাস দিয়ে তার থাকার জন্যে তৈরী করে দেয়া হয়েছিল একটি কুঠুরি। আর সেই কুঠুরীই হলো সীতার কোর্ট। এমনটি দাবী স্থানীয় হিন্দু ধর্মালম্বীদের। প্রায় সাড়ে তিনশ বর্গফুট ফুটের বিহারটিতে ছোট বড় ৪১টি কক্ষ রয়েছে। নিপুন হাতের গাঁথুনী ইমারতের লম্বা, মধ্যম ও ছোট ছোট ইট এবং চুন সূরকী দ্বারা বিহারটি নির্মিত। জানা গেছে ১৯৬৮ সালে প্রত্মতত্ত¡ বিভাগের অনুসন্ধানকারী একটি দল নির্দশনের আংশিক অংশ খননের পর নিশ্চিত হয় এটা একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। কিন্তু হিন্দুধর্মালম্বীরা এখনও তাদের তীর্ঘস্থান মেনে আসেন এই বিহারে। খননের সময় সময় বিহারের কিছু অংশ সংস্কার করা হলেও পরে আর কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় ঐতিহাসিক এ নির্দশনটির মুল স্থাপনা ভেঙ্গে যাচ্ছে। একজন কেয়ারটেকার থাকলেও সীমানা বেষ্টুনী না থাকায় বিহারটি চারণ ভুমিতে পরিনত হয়েছে। অপর দিকে বিপুল পর্যটক আনাগুনা থাকলেও বিহারে নেই কোন পানি, শৌচাগার সহ বিশ্রাম নেওয়ার নেই কোন ব্যবস্থা। ফলে প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের ভুগান্তির শেষ নেই।
উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ বিপ্লব কুমার সাহা জানান- প্রতিবছর বৈশাখ মাসে আশের পাশের কয়েকটি জেলার সনাতন ধর্মালম্বীরা এখানে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমাবেত হন। কিন্তু এখানে দর্শনার্থীদের নেই কোন সুযোগ সুবিধা। তিনি পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সহ অবহেলিত বিহারটির উন্নয়নে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান জানান- অবহেলিত এই সীতারকোর্ট বিহারটি সংস্কার ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করনের লক্ষে উপজেলা পরিষদ থেকে যতটা সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তিনি প্রতœতথ্য বিভাগকে ঐতিহাসিক নিদর্শনটি রক্ষায় এগিয়ে আসার আহŸান জানান।

ইতিহাস সমৃদ্ধ এ বৌদ্ধ বিহারটি রক্ষায় সীমানা প্রাচীর নির্মান, মুল স্থাপনা সংস্কার ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ দর্শনার্থীদের জন্য পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা করে ঐতিহাসিক স্থানটিকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবে এমনটি প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest