স্বপ্নের পদ্মাসেতুর ১৮ তম স্প্যান বসানো হবে বুধবার (১১ ডিসেম্বর)।

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

স্বপ্নের পদ্মাসেতুর ১৮ তম স্প্যান বসানো হবে বুধবার (১১ ডিসেম্বর)।

মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকাঃ পদ্মা সেতুর ১৮তম স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ক্রেনে তুলে নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই স্প্যানটি ১৭ ও ১৮ নম্বর খুঁটিতে স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে পদ্মাসেতু প্রায় তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি মাসে আরও ৩টি স্প্যান বসানো হবে বলে জানিয়েছেন সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
৬ দশমিক ১ কিলোমিটার লম্বা সেতুতে স্প্যান বসাতে হবে ৪১ টি। এর মধ্যে চীন থেকে সেতু এলাকায় স্প্যান এসেছে ৩১টি। সেখান থেকে ১৭টি স্থাপন করা হয়েছে।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেতুর জাজিরা প্রান্তে রোডওয়ে স্ল্যাব ১০০টি বসে গেছে। প্রায় ৩ হাজার রোড ওয়ে স্ল্যাব বসানোর পর সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার হবে। নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ করতে হলে দিনে অন্তত ৮ টি করে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর প্রয়োজন রয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জানান, এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৪২ টি খুঁটির মধ্যে ৪টি খুটি ছাড়া বাকি সবগুলোর কাজ শেষ হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরেই এগুলো শেষ হচ্ছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তারপর পিছিয়ে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের জুন মাসে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। ২০১৫ সালে শুরু হয় নির্মাণ। বর্তমান ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুইপ্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশিয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest