শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের মুখেও হাবিপ্রবির টিএসসি’তে চলছে ব্যাংকের শাখা স্থানান্তরের কাজ

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২০

শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের মুখেও হাবিপ্রবির টিএসসি’তে চলছে ব্যাংকের শাখা স্থানান্তরের কাজ

হাবিবুর রহমান,হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র(টিএসসি)তে চলছে বিশ্ববিদ্যালয় রুপালী ব্যাংক শাখা স্থানান্তরে কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এই ছবি ভাইরাল হলে শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে।।এর আগে গত বছরের মে মাসে টিএসসিতে রুপালি ব্যাংকের শাখা স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শাখা স্থানান্তরের কাজ বন্ধ রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে করোনায় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় পুনরায় টিএসসির ২য় তলায় চলছে রুপালি ব্যাংকের শাখা স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র(টিএসসি)৫ম তলা বিশিষ্ট। এর মধ্যে ক্লাশ সংকটের দরুণ ৪র্থ এবং ৫ম তলা যথাক্রমে স্থাপত্য বিভাগ এবং এ্যাগরিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।অন্যদিকে ৩য় তলা ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।২য় তলায় বিশ্ববিদ্যালয় রূপালী ব্যাংক শাখা স্থানান্তর হয়ে গেলে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বসার জন্য বাকি থাকবে শুধু প্রথম তলা।যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১১ হাজার ছাত্রছাত্রীদের বসার জন্য সংকুলান নয়। শিক্ষক-ছাত্র মিলন কেন্দ্রে অন্যান্য শাখা ও ক্লাশরুম নিয়ে আসায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগে থেকেই অসন্তোষ রয়েছে। তার উপরে নতুন করে এই ব্যাংক স্থানান্তরের কাজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায় অনুষদের লেভেল-৪ সে-২ এর শিক্ষার্থী মোঃ মারুফ হাসান অসন্তোষ নিয়ে বলেন, জুলাই ৩০, ২০১৯ এ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসে শিক্ষার্থী বান্ধব পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরেও করোনা কালীন সময়ে চুপি সারে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে ব্যাংক এর কাজ সম্পন্ন করা কোন দিক দিয়ে যুক্তিসংগত তা আমার বুঝে আসে না। আর সকলের অগচরে এই টিএসসি এর দ্বিতীয় তলায় ব্যাংকের কাজ সম্পন্ন করা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশ্বাসের নামে ধোকা দেওয়ার সমতুল্য আর এমন ঘৃণিত কাজ সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীবান্ধব দাবীর অপমান স্বরুপ।

ব্যবসায় অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান সজীব ক্ষোভ নিয়ে বলেন,’ টিএসসি শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মিলন কেন্দ্র সেখানে ব্যাংকবীমার মত প্রতিষ্ঠান আশা করা যায় না। টিএসসিতে এমনিতেই আমাদের জায়গার সংকুলান হয়না। তার উপরে ব্যাংক হলে টিএসসিতে বসার মতো জায়গাই পাওয়া যাবেনা। এতে টিএসসির স্বকীয়তাও নষ্ট হবে।

এ ব্যাপারে হাবিপ্রবি প্লানিং এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখার পরিচালক প্রফেসর ড.মো: মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি জানান, এটা আমার বিষয় না।আপনারা ভিসি স্যারের সাথে কথা বলুন।স্যার অনুমতি দিয়েছেন কাজ শুরু করতে”।

এদিকে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এতে সমস্যার কিছু দেখি না। কারণ দশ তলা ভবনের কাজ শেষ হলে টিএসসির চতুর্থ এবং পঞ্চম তলার ক্লাশগুলো ওখানে শিফট করা হবে।তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই ফ্লোরগুলো পাবে।তাহলে চতুর্থ এবং পঞ্চম তলায় কেন ব্যাংকের শাখা স্থানান্তর নয় এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার বলেন,এতে করে ব্যাংকে ওঠানামা করতে সমস্যা হবে।

তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: আবুল কাশেম এর এর সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের করার চেষ্টা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest