বরিশালে ঝাড়ুদার শাহীনের গরীব রোগীতের সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার মিশন

প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯

বরিশালে ঝাড়ুদার শাহীনের গরীব রোগীতের সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার মিশন

মোঃ শফিউর রহমান কামাল বরিশাল ব্যুরোঃবরিশাল নগরীর আগরপুর রোডস্থ হোটেল ম্যালোডি’র ২য় তলায় অবস্থিত মুন ডায়াগনষ্টিক ল্যাব খুলে প্রতারনা চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ডিসেম্বর পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি থানার গুঠিয়াকাঠি গ্রামের রিক্সা চালক রুবেল হোসেন তার মাকে নিয়ে বরিশালে আসে হার্টের ডাক্তার দেখানোর জন্য বরিশালে আসে। এসেই বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ ফাতেমা সেন্টারের সামনে বসে দেখা মেলে রোগীর দালাল খোকন তালুকদারের সাথে। তিনি হার্টের ডাক্তার জাকির হোসেনের চেম্বার চেনে বলে জানায়। পরবর্তীতে মুন ডায়াগনষ্টিক ল্যাবে কথাকতিথ ডাক্তার জাকির হোসেনের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ডাক্তারের ভাই মোঃ হোসেন শাহীন তাদেরকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এসময় কথাকতিথ ডাক্তার জাকির ৭/৮টি টেষ্ট করার জন্য বলেন। এসময় মুন ডায়াগনষ্টিক ল্যাবে গিয়ে টেষ্ট করান রিক্সা চালক রুবেলের মাতা কুলছুম বেগম। তাদের টেষ্টে ৮ হাজার ২ শত টাকা হাতিয়ে নেন শাহীন ওরফে মোঃ হোসেন শাহীন। ডাক্তারের কাছ থেকে নেমে রিক্সা চালক রুবেল পুনঃরায় আবারো খুজতে শুরু করেন হার্টের ডাক্তার জাকিরের চেম্বার। এমন সময় এক অজ্ঞাত ব্যাক্তি সঠিক ঠিকানা এবং সঠিক হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জাকির হোসেনের চেম্বারে নিয়ে যান। তখন রিক্সা চালক রুবেল বুঝতে পেরেছে যে তার সাথে প্রতারনা করা হয়েছে। এমন সময় সরনাপন্ন হয় কোতয়ালী থানা পুলিশের। কোতয়ালী থানা পুলিশ গিয়ে রোগীর দালাল খ্যাত ঝাড়ুদার শাহীন ওরফে মোঃ হোসেন শাহীন এবং তার সহযোগী খোকন তালুদারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত মোঃ হোসেন শাহীন ওরফে ঝাড়ুদার শাহীনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা গেছে গত কিছু দিন পূর্বে মুন ডায়াগনষ্টিক ল্যাবে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রটরা।এসময় ভূয়া ২ ডাক্তারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এর পরেও থামেনি ঝাড়ুদার শাহীনের গরীব রোগীতের সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার মিশন। তিনি স্থানীয় একটি পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। আরো জানাগেছে, নগরীর এক সময়ের আলোচিত রোগীর দালাল কালুশাহ সড়ক এলাকার বাসিন্দা শাহিন সিকদার। নগরীর সদর রোডের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকেই নামের আগে ঝাড়ুদার উপাদী পায় শাহিন। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঝাড়ুদারের চাকুরীকালিন সময় দালালদের সাথে সক্ষতা গড়ে ওঠে তার। এমনকি পরবর্তীতে নিজেই দালাল সাম্রাজের গডফাদার বনে যায় ওয়ার্ড যুবদল নেতা ঝাড়ুদাড় শাহীন। নগরীর সদর রোড, রূপাতলী, লঞ্চঘাট এবং রূপাতলী এলাকায় রয়েছে তার বিশাল দালাল বাহিনী।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest