ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
আপেল মাহমুদ(শাওন) ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলায় কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের একসিলারেটিং প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্পের আয়োজন ভোলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক। সভায় এপিসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এস এম লতিফ সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন, এপিসি প্রকল্পের প্রগাম অপারেশন এক্্রপার্ট কফিল উদ্দিন কাইয়া,ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজল ইসলাম মাষ্টার ,জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক মো: ইকবাল হোসেন, ইউনিসেফ এর সিফরডি অফিসার সনজিত কুমার দাস ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা মো: জামিল হাছান প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলে ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাষ্টার,ভেদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আব্দুল হাই মাষ্টার প্রমুখ।অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: মিজানুর রহমান। এসময় কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা বলেন, কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠন করার পরে ক্লাবে এসে তাদের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তারা জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষন থেকে শুরু করে বাল্য বিয়ে কুফল,যৌতুক প্রথা রোধ,নারী নির্যাতন, নারীর ক্ষমতায়ন, ইভটিজিং রোধে কাজ করে যাচ্ছি। এসময় তারা এই ক্লাব গুলোকে ঠেকসই করার দাবী জানানোর পাশাপাশি ক্লাবের বিভিন্ন সমস্য ও সফল্যের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন,বাল্যবিবাহ আমাদের দেশে একটি সামাজিক ব্যাধি। বর্তমান আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বাধা হচ্ছে এই বাল্যবিবাহ। এই অবস্থার উত্তরণের জন্য চাই সামাজিক সচেতনতা। কারণ সামাজিকভাবে প্রতিরোধ ছাড়া এটা নির্মূল করা সম্ভব না। এর জন্য কিশোর-কিশোরীদের সমাজকে দায়িত্ব নিয়ে এই বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।আর কিশোর-কিশোরীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে আগামী প্রজন্ম মানব সম্পদে পরিনত হবে। সমাজ থেকে দূর হবে সকল অন্যায়। কিশোর-কিশোরীদের মান উন্নয়নের উপর নির্ভর করছে আগামীর বাংলাদেশ। এসময় তিনি আরো বলেন, কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়ন করতে হলে তাদের জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে আমাদের। আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখিয়েছেন ২০২১ সালে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হব। ২০৪১ সাল আজকের কিশোর-কিশোরীরা তখন দেশের জন্য হাল ধরবে। দেশের উন্নয়নে এই কিশোর-কিশোরীদের কাজে লাগাতে হলে আমাদের কে কিশোর দের নৈতিক শিক্ষিয়া শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যোগ্য করতে হবে। শুধু প্রচলিত শিক্ষা দিলেই হবে না দক্ষ ও যোগ্য করে তুলতে হবে। কিশোরীদের বাল্য বিয়ে দেয়া যাবেনা। এর জন্য অভিবাকদের সচেতন হবে। মেয়ে শিশুদের অবহেলার চোখে না দেখে সম্পদ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদকে কিশোর-কিশোরী বান্ধব কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে। যাতে তাদের উপকারে আশে কলে জনানা।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST