মোঃকাওছার হোসেনঃ
গৌরনদী প্রতিনিধি
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী নামক স্থানে গত ১০ অক্টোবর মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা গুরুতর আহত হন পিয়াজ ব্যবসায়ী নয়া মাতব্বরসহ তিন জন। দূর্ঘটনার সময় স্থানীয় দুইজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যবসায়ী নয়া মাতব্বরের সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। উক্ত খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারে তৎপর হন গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া। দুই সপ্তাহ পর বুধবার বিকেলে খোয়া যাওয়া পূরো টাকা উদ্ধার করে আহত ব্যবসায়ীর স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেন ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া।
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ব্যাতাল গ্রামের আহত ব্যবসায়ী নয়া মাতব্বরের পিতা সিরাজ মাতব্বর জানান, গত ১০ অক্টোবর বরিশাল শহরে পিয়াজ বিক্রি করে পিকআপ যোগে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে গৌরনদীর আশোকাঠী নামক স্থানে পৌঁছলে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা গুরুতর আহত হয় তার পুত্র নয়া মাতব্বর, চালক ও হেলপার। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ সময় তার পুত্রের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা উদ্ধারকারীদের মধ্যে দুই জনে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার পুত্র নয়া মাতুব্বরকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করে। সে খানে অপারেশন করে তার একটি পা কেটে ফেলে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, দূর্ঘটনার ৩ থেকে ৪দিন পর পর আহত নয়া মাতব্বর এর পিতা সিরাজ মাতব্বর দূর্ঘটনাকালে তার ছেলের নিকট থাকা ৫০ হাজার টাকা কে বা কাহারা নিয়ে যায় বলে আমাকে অবহতি করেন। তাৎক্ষণিক আমার নেতৃত্বে গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারে তৎপর হই। প্রায় দুই সপ্তাহ চেষ্টা শেষে আমরা টাকা লুকিয়ে ফেলা দুই জনকে সনাক্ত করতে সক্ষম হই। এক পর্যায়ে তারা আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দিয়ে তাদের নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। তাদের ভুল বুঝতে পারে এবং এমন কাজ আর কখনো করবে না বলেও অঙ্গীকার করেন। বুধবার সন্ধ্যায় আহত নয়া মাতব্বর এর পিতা সিরাজ মাতব্বরের হাতে পূরো টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সার্জন মাহাবুব ইসলাম