শেরপুরে ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের খাস সম্পত্তি দখল|| প্রশাসন নির্বিকার

প্রকাশিত: ১১:২৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২০

শেরপুরে ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের  খাস সম্পত্তি দখল|| প্রশাসন নির্বিকার

জাহাঙ্গীর ইসলাম, বগুড়া থেকে
বগুড়ার শেরপুরের ছোনকা বাজারে সরকারের খাস সম্পত্তি নিয়ে চলছে সরকারী দলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা। গড়ে তুলছে স্থায়ী স্থাপনা। বারবার প্রশাসনকে জানালেও অজ্ঞাত কারণে নিরব ভুমিকা পালন করছেন তারা। সম্প্রতি ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সম্প্রসারণে ওই বাজার এলাকায় দোকানদার বা স্থানীয় অধিবাসীদের স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এরপ্রেক্ষিতে একই এলাকার সক্রিয় সিন্ডিকেট চক্র দিনের পর দিন সরকারের খাস সম্পত্তিগুলো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে পজিশন বিক্রি করছে। ফলে বেহাত হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। এসব জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।
৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন ছোনকা মৌজার ছোনকা বাজার এলাকায় একের পর এক জায়গা বেদখল করে চলছে। ছোনকার অনেক সরকারী খাস সম্পত্তির মধ্যে বাজার সংলগ্ন হেসার পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে জায়গা দখল করছে ক্ষমতাসীন দলের সিÐিকেট চক্রের সদস্য সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী, ফেরদৌস জামান মুকুল, শাহ মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম, মাহবুবুর, আশরাফ আলী, আব্দুল হান্নান, জামাল হোসেন, রাশেদ, ইয়াসিন সহ আরো কয়েকজন। অপরদিকে ভূমি দখলবাজদের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেনা ভবানীপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্রের নির্মানাধীন নিরাপত্তা প্রাচীরটি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের প্রাচীরের দেয়াল প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নির্মাণ করেছে অবৈধভাবে স্থায়ী দোকানপাট।
এলাকার ওই চিহ্নিত দখলবাজরা ব্যক্তিরা দীর্ঘ দিন যাবত প্রকাশ্যে সরকারি সম্পদ দখলপূর্বক ঘর নির্মাণ করলেও সচেতন মহল থেকে একাধিক অভিযোগ দিলেও আমলে না নেয়ায় অভিযোগ উঠেছে খোদ উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ছোনকা বাজার ব্যবসায়ী নেতা ও ছোনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ফেরদৌস জামান মুকুল বলেন, বাজার এলাকার পুকুর পাড়ে খাস সম্পত্তিগুলোতে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে মহাসড়কে সম্প্রসারন কাজে পরা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের আপাতত ব্যবসার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

আরেক বাজার ব্যবসায়ী নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী বলেন, ওই হাটের সম্পত্তিতে দোকানঘর তৈরি করে দিচ্ছে সংশ্লিস্ট হাটের ইজারাদার। তবে সমস্যয় পড়লে তাকে আমরা সহযোগীতা করি।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল হোসেন বলেন, ওই বাজার এলাকার সরকারি সম্পত্তিতে ঘর তুলতে নিষেধ করেছি। তবে ওইসব দখলবাজরা মানেনি। এ বিষয়ে আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অবগত করেছি।

এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী সেখ বলেন, সরকারি সম্পত্তি বেদখল হওয়ার বিষয়টি জেনেছি, দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest