নীলফামারী জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্মিত হচ্ছে ১৮০টি আধুনিক একাডেমিক ও আইসিটি ভবন

প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২০

নীলফামারী জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্মিত হচ্ছে ১৮০টি আধুনিক একাডেমিক ও আইসিটি ভবন

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :

নীলফামারী জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলোতে নির্মিত হচ্ছে ১৮০টি আধুনিক একাডেমিক ও আইসিটি ভবন। প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ভবনগুলো নির্মাণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসন হবে।

নীলফামারী জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন অর্থ বছরের বাজেটে জেলায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৮০টি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আর বাকী ভবনগুলো সময়সীমা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছে। এরমধ্যে আছে ৪০টি  আধুনিক মানের চার তলা নতুন ভবন,  ২০টি আইসিটি ভবন, সরকারি কলেজের ৭টি পোস্ট গ্রাজুয়েট ভবন, ৪০টি ভবনের উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ, ৩৫টি চারতলা ভিত বিশিষ্ট এক তলা ভবন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন বিষয়ক প্রকল্পের আওতায় ৬টি ভবন, সরকারি কলেজ সমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সহজিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৬টি ভবন, কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ ২টি ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৪টি ভবন। আধুনিক মানের এ ভবনগুলো বাড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানের শোভা।

নীলফামারী মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাম  বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে চারতলা আইসিটি ভবন নির্মাণ হয়েছে। এতে আইসিটি ল্যাবসহ অন্যান্য সুবিধা থাকায় শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের আধুনিক ভবন নির্মিত হওয়ায় বাহ্যিক শোভাও  বেড়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের  বলেন, কাজের সময়সীমা অনুযায়ী অধিকাংশ ভবন নির্মাণ  ও উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ কাজ শেষ পর্যায়ে। বাকী চলমান কাজ নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী দ্রুত শেষ করার জন্য বিভাগের কর্মকর্তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ করা হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে আসবাপত্র পাঠিয়ে তা ব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম শাহিনুর ইসলাম  বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব আধুনিক ভবন নির্মাণ হওয়ায় শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসনসহ পাঠদানে শিক্ষাথীদের সুন্দর মনোরম পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত শিক্ষার পরিবেশ এসেছে। চলতি অর্থবছরে জেলার চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।#


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest