দিরাইয়ে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ গুলিতে নিহত ১ আহত ২০

প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯

দিরাইয়ে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ গুলিতে নিহত ১ আহত ২০

শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জ:: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমির উদ্দিন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। রোববার সকালের দিকে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কালধর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমির উদ্দিন কালধর গ্রামের সাইদ উল্লাহর ছেলে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বন্দুকসহ ফারুক মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তিনি একই গ্রামের মৃত হাজী আবদুল আলীর ছেলে। গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার হোসেন (৩০), রাজেল মিয়া (৩২), এলাইছ মিয়া (৫২), শহীদ মিয়া (৩৬), চন্দন মিয়া (৩০), মিলন মিয়া (৩০), করম আলী (৫২), বিল্লাল মিয়া (২৯), জাকারিয়া (২৫), ছাদ হোসেন (২৯), মাহবুব মিয়া (১৮), জুয়েল মিয়া (১৯), কুতুব মিয়া (৩০) কে আহতবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, গ্রামের ফারুক মিয়া, মিলিক মিয়া, মনু মিয়া ও আওয়াল মিয়ার কাছে গ্রাম উন্নয়ন ফান্ডের প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা নিয়ে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী কয়েকবার সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন। রোববার সকালে গ্রামের শফিক মিয়া, আইয়ুব মিয়া ও জুয়েল মিয়া মোটরসাইকেলে দিরাই যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকায় মনু মিয়া, মিলিক মিয়া ও ফারুক মিয়াসহ তাদের লোকজন এদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন তাদের উদ্ধারে এগিয়ে এলে ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আমির উদ্দিন। গ্রামের সাবাজ মিয়া জানান, তিন বছর ধরে গ্রামের উন্নয়ন ফান্ডের প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা ফারুক মিয়া, মনু মিয়া ও আউয়াল মিয়ার কাছে রয়েছে। গ্রামবাসী টাকার হিসাব চাইলে তারা বিভিন্ন টালবাহানা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানি করে আসছিলেন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সমাধান হয়নি। দিরাই থানা ওসি কেএম নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফারুক মিয়াকে তার বন্দুকসহ আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। গ্রামের পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে। নিহত আমির উদ্দিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest