দিনাজপুরে বড় দিন উপলক্ষে হত দরিদ্র খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন

প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯

দিনাজপুরে বড় দিন উপলক্ষে হত দরিদ্র খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন

দিনাজপুর থেকে সিদ্দিক হোসেন ॥
খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব “বড় দিন” উপলক্ষে দরিদ্র ও হতদরিদ্র খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে চিনি ও আটা বিতরন করা হয়। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির সার্বিক সহযোগিতায় দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার বড় দিনের এ উৎসব আনন্দময়ী করার জন্য হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়।
রোববার বিকালে পুলহাট স্টাফ কোয়াটার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজানের প্রতিবারের ন্যায় নিজ উদ্যোগে কসবা শান্তিপাড়া, বিশপ পাড়া, আউলিয়াপুর ও কসবা বাগান পাড়ার ৩০০ খ্রীষ্টান পরিবারকে ৪ কেজি আটা ও ২ কেজি করে চিনি বিতরন করা হয়। সহযোগিতা নিতে আশা মিশন হাসপাতালের স্টাফ এলিজাবেথ রোজারিও ও লিনা পারোই দাবী করেন অন্যান্য ধর্মের উৎসবের সময় সরকারি ভাবে অনেক সহযোগিতা করা হয়। এতে আমরা আনন্দিত। তবে খ্রীষ্টান ধর্মীয় বড় দিনের সময় সরকারি ভাবে আমাদের কোন সহযোগিতা করা হয় না। আমাদের এ উৎসবকে প্রানবন্তর ও আনন্দময়ী করার জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। হাসকিং মিলের চাকুরিরত আল জেলুস মুর্মু বলেন, সিংহভাগ খ্রীষ্টান ধর্মীয় মানুষ শ্রমিক দিন আনি দিন খাই। এ উৎসবের সময় আমাদের চাপের মুখে পড়তে হয়। বড় দিনের এ উৎসবের সময় প্রতিবার কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজান আমাদের খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। এতেই আমাদের ধর্মীয় উৎসব প্রানবন্তর হয়ে উঠে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, অন্য ধর্মীয় উৎসবে ভিজিবির চাউলসহ অন্যান্য সহযোগিতা করা হয়। আমরাও সরকারি ভাবে এ সময় সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি।
পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রমজান বলেন, দিনাজপুরে খ্রীষ্টান ধর্মীয় বড় দিনের উৎসবকে আরও আনন্দময়ী ও প্রানবন্তর করতে আমার এ উদ্যোগ। তিনি দাবী করেন বড় দিনের এ উৎসবের পুর্বে সরকারি ভাবে ভিজিএফ চাল ও অন্যান্য সহযোগিতা দেয়া খুবই প্রয়োজন। কারন হিসেবে তিনি বলেন, আদিবাসী থেকে খ্রীষ্টান ধর্মে রুপান্তরিত এসব পরিবার অত্যান্ত গরিব ও হতদরিদ্র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা সালেহুর রহমান, পান্নাসহ অন্যান্যরা।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest