রাজগঞ্জে তীব্র শীতে গরম কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভীড়

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯

রাজগঞ্জে তীব্র শীতে গরম কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভীড়

উত্তম চক্রবর্তী, মণিরামপুর (যশোর)অফিস৷৷ রাজগঞ্জে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে এলাকার দরিদ্র ও বৃদ্ধ মানুষেরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। গত কয়েক দিন যাবৎ সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। প্রচন্ড শীতের কারণে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছে না। বয়স্ক নারী পুরুষ ও শিশুরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যহত হচ্ছে। সরেজমিনে মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশার কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে তেমনটা যাচ্ছেন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও গ্রামাঞ্চলে কম। দুস্থ ও শীতার্ত মানুষগুলো শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কাঠ, খড়, শুকনো লতা-পাতা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের জন্য চেষ্টা করছেন। শীতের কারনে নানা রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নেমে আসে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশা। এ জন্য যান চলাচলে হচ্ছে চরম অসুবিধা। বোর মৌসুমের বীজতলা নিয়েও আশংকায় আছেন কৃষকরা। তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গরম কাপড়ের বাজারে দেখা গেছে উপচে পড়া ভীড়। নিম্ন আয়ের মানুষেরা গরম কাপড়ের বাজারে ভীড় জমাচ্ছেন। রাজগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের বাজার। দাম গত বছরের তুলনায় বেশি বলে ক্রেতারা জানান। প্রতিটি শীতের কাপড়ে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সীমিত আয়ের মানুষের মার্কেটে আসাটা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার শীত বস্ত্রের বিক্রি অনেক বেড়েছে। সব জিনিসের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে শীতের কাপড়ের দাম। হঠাৎ করে শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দামও বেড়েছে। বাজারের বিভিন্ন স্থানে বাহারী কাপড়ের পসরা নিয়ে বসেছে গরম কাপড়ের ব্যাবসায়ীরা।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest