ঢাকা ২৮ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২১
ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের গয়ারডোবা রাস্তার পাশে দুইবছর যাবৎ এক সত্তর ঊর্ধ নারীর আত্ব চিৎকার শুনতে পান পথচারী লোকজন। কেউ দয়া করে ফেলে যান খুচরা কিছু অর্থ। এতোদিন খুপরির তুলে থাকলেও হঠাৎ করে সেই নারীকে অর্ধ শরীর পলিথিন কাগজে মুড়িয়ে খুদার জ্বালায় কান্না করতে দেখা যায় রাস্তার পাশে জঙ্গলে। পাশের বাড়ির লোক জনের কাছে জানতে চাইলে আবুল আজাদ নামের একজন জানান- ঐ মহিলা আমার চাচাতো বোন। বিয়ে হয়েছিল শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী এলাকায়। গত ৪৫ বছর আগে স্বামী মারা গেছে, একমাত্র পুত্র রজবআলীও এক মাত্র শিশু সন্তান বাদশাকে রেখে মারা যায় ২০ বছর আগে। বাদশা নামের নাতিকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কেটে যায় বেশ কিছু বছর, নাতি বাদশা বিয়ে করে চলে যায় ঢাকায়। এদিকে দাদী অচিরন (৭৪) প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হন। শেরপুর জেলার জিনাইগাতি লাল কুড়া গ্রামের আজগর নামের এক লোকের মাধ্যমে ঠাই মেলে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল এলাকায় চাচাতো ভাইয়ের বাড়ীতে। খালি হাড় কুকুরও চাটে না, এমনটাই ঘটলো তার জীবনে। ভাতিজার আঙ্গিনার কোণেও জায়গা হলো না অচিরন বেগমের।
ঠাঁই মিলেছে বাঁশ ঝাড়ের নিচে পরিত্যক্ত কচু গাছের ঝোপে। তার চিৎকারে আকাশ ভারি হয়ে ওঠে প্রায়ই।
স্থানীয় মেম্বার চান সওদাগর বলেন আমি তাকে দেখেছি, সে যতদিন বাঁচবে স্থানীয় সরকারের সকল সুবিধা নিশ্চিত করবো। হাতিভাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুর ছালাম জানান, আমার কাছে এলে আপাতত একবান টিনের ব্যবস্থা করে দিবো, যাতে তার থাকার জায়গাটা ভালো হয়। একমাত্র নাতি বাদশার সাথে কথা বলে জানা যায় তার দাদি এক যুগ হতে প্যারালাইজড হয়েছে। দুই বছর আগে তার ভাইয়ের বাসায় চলে গেছে,আমি ঢাকায় কাজ করি, তাদের বলেছি দাদিকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST