ফুলবাড়ীয়ার ১৩নং ভবানীপুর ইউপি নির্বাচনে প্রচারণায় এগিয়ে বিল্লাল

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১

ফুলবাড়ীয়ার ১৩নং ভবানীপুর ইউপি নির্বাচনে প্রচারণায় এগিয়ে বিল্লাল

মোবারক হোসেনঃ আসছে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই গরম হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। সকাল হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত পথে ঘাটে চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। আসন্ন ১৩নং ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের কান্দানিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সমাজসেবক ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ মোঃ আজহারুল ইসলাম বিল্লাল।

সূত্র জানায়, মাঠি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তাকে ঘিরেই সর্বত্র চলছে আলোচনা। এলাকার লোকজনের চাওয়া ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতেই আগামী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন রাজপথের লড়াকু সৈনিক ও তরুন প্রজন্মসহ সর্বমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনকারী এই নেতা। ধারক-বাহক এ নেতা প্রার্থী হওয়ায় এলাকাবাসি জোটবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে মাঠে কাজ করবে বলে মনে করেন অনেকে।

আসন্ন ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি সর্বত্র। দলীয় নেতা-কর্মিরাও চাঙ্গা হয়ে উঠছেন। অনেকেই আগাম প্রচার-প্রচারনায় নেমেছেন। সিনিয়র নেতাদের সাথেও নিয়মিত লবিং চালিয়ে আসছেন অনেকে। যে কোন মূল্যে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন বিভিন্ন দল সমর্থিত নেতারা।

তারই ধারাবাহিকতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনা ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন মোঃ আজহারুল ইসলাম বিল্লাল। এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিল্লালের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ছাত্র ও যুব সমাজের মাঝেও রয়েছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। দীর্ঘদিন রাজপথে সরব থাকা এ নেতাকে চেয়ারম্যান হিসেবে চান দলমত নির্বিশেষে অনেকেই।

সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সদস্য বিল্লাল ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকার মাদক, সন্ত্রাস, জুয়া, বাল্যবিবাহ ও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি জানান, বিল্লাল তরুন-প্রজন্মের জনপ্রিয় নেতা। সব সময় তাকে মাঠে পাওয়া যায়। বিপদে-আপদে এমনকি মহামারী করোনা-কালীন সময়ে তার অনেক অবদান রয়েছে।

মোঃ আজহারুল ইসলাম বিল্লাল বলেন, আমি নির্বাচিত হলে, এলাকাবাসীকে পরিছন্ন এক ইউনিয়ন উপহার দেবো। বেকারত্ব সমস্যা সমাধান, বাল্যবিবাহ বন্ধ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাবান্ধব উন্নত নাগরিক সুবিধা প্রদান করবো। পিছিয়ে থাকা রাস্তাঘাট সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করবো। মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণ মোকাবিলায় আমি এলাকায় কাজ করেছি। আমি যতটুকু পেরেছি আমার এলাকাবাসীকে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছি।

তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত জনসচেতনতায় কাজ করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বেশ কিছু পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। সাধ্যমতো মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকি। মহান আল্লাহ চাইলে আর ইউনিয়নবাসী সমর্থন দিয়ে পাশে থাকলে গরীব, দুঃখী, অসহায়, মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest