হাজতবাস বাদ দিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ক-এর বিধান প্রতিপালনের আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রকাশিত: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২১

হাজতবাস বাদ দিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ক-এর বিধান প্রতিপালনের আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

নিজস্ব প্রতিবেদক:দণ্ডিতদের সাজার মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে হাজতবাস বাদ দিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ক-এর বিধান প্রতিপালনের আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। ২৬ বছর ধরে কারাবন্দি যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামির ‘লিভ টু আপিল’ পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ক ধারা অনুসারে কোনো আদালত একজন অভিযুক্তকে কোনো অপরাধে যদি দণ্ডিত করেন, সে ক্ষেত্রে ওই আদালত ওই অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যত দিন জেলহাজতে ছিলেন, কারাদণ্ড থেকে তা বাদ দেবেন। যদি দণ্ডের চেয়ে জেলহাজতের মেয়াদ বেশি হয় তাহলে ওই ব্যক্তি দণ্ড ভোগ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং অন্য অপরাধ না থাকলে জেলহাজত থেকে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দিতে হবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রায়হান চৌধুরী।
পরে বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, একজন আসামি ইউনুছ আলী। ডাবল মার্ডার মামলায় প্রথমে তাঁকে নিম্ন আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।

পরে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ইউনুছ আলীর আইনজীবী আপিল বিভাগে বলেন, এ পর্যন্ত ইউনুছ আলী ২৬ বছর হাজত খেটেছেন। প্রচলিত সিআরপিসির ৩৫ক ধারায় বলা হয়েছে, বিচারের সময়ে আসামি যত দিন হাজতবাস করবেন, হাজতবাসকালীন এই সময় সাজা থেকে বাদ যাবে। এ ক্ষেত্রে ইউনুছ আলীর রায়ে ৩৫ক ধারা উল্লেখ করা ছিল না।

১৯৯৫ সালের জুন মাসে নাটোর সদর উপজেলার চকপাড়ায় হত্যা মামলায় সেনবাগ লক্ষ্মীকোল এলাকার আফছার মণ্ডলের ছেলে ইউনুছ আলীসহ দুজনকে ২০০২ সালের ১৭ নভেম্বর বিচারিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকি আটজনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। আপিলের পর ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট ইউনুছ আলীর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে ‘লিভ টু আপিল’ করেন ইউনুছ আলী। আদালত গতকাল ‘লিভ টু আপিল’ পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest