তারাগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর পরীক্ষা অনুষ্টিত

প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২০

তারাগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর পরীক্ষা অনুষ্টিত
প্রবীর কুমার কাঞ্চন,তারাগঞ্জ (রংপুর)প্রতিনিধিঃ তারাগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের অসচেতনার কারনে অনুষ্ঠিত পুরাতন সিলেবাচের ডিগ্রী পাস তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা সূচীর নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব দাবী করেন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বোর্ড থেকে না দেয়ায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশের ন্যায় অনুষ্ঠিত ডিগ্রী পাস তৃতীয় বর্ষের (পুরাতন সিলেবাচ) এর পরীক্ষা মঙ্গলবার দুপুর ১টায় তারাগঞ্জ সরকারী ও/এ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ে শুরু হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি ও পুলিশ প্রশাসনসহ পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তাগন উপস্থিত থাকেন। ৪ জন পরীক্ষার্থীরাও নির্ধারিত ১২ টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষার হলে গিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু দুপুর ১টা বেজে গেলেও পরীক্ষা হলে খাতা সরবরাহ করা হলেও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়নি। এ নিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পরীক্ষার্থীরা হতাশায় থাকেন। পরে তারা জানতে পারেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র না থাকায় এমনটি হচ্ছে। এ খবরটি ইউএনও আমিনুল ইসলাম জানতে পেরে তৎক্ষনিক ভাবে কেন্দ্রে ছুটে যান। এসময় তিনি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং বোর্ডের দেয়া নির্দেশমতে পার্শ্ববর্তী নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার সৈয়দপুর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ইতিহাস (কোড নং-৪০৩) এবং ইসলামের ইতিহাস(কোড নং- ৪১৩) এর ২৫টি প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হলে পরে নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে পূনঃরায় পরীক্ষা নেয়া হয়। একটি সূত্রে জানাগেছে, বোর্ড থেকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার জন্য রাখা হলে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রের সচিব তা যাচাই-বাচাই (সটিকং) করে নেয়ার কথা। এ সময় কোন বিষয়ের প্রশ্নপত্র না পাওয়া গেলে তা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে আবেদনের মাধ্যমে অবগত করতে হয়। কিন্তু তারাগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব আব্দুল বারী মন্ডল এর অসচেতনার কারনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব আব্দুল বারী মন্ডল বলেন, এ বিষয়টি তেমন একটা ঘটনা নয়। অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটে থাকে। এ বিষয়ে লেখা-লেখির কোন মানে হয় না, তাতে কলেজের দুর্নাম হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest