ঢাকা ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২২
আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও স্বীকৃতি মেলেনি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ১৪ টি শহীদ পরিবারের।
৭১’র ২৫শে মার্চ ভয়াল কালো রাতে নিরীহ বাঙ্গালীর উপর নির্বিচারে গনহত্যা চালায় তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
এরপর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিশ্বের মানচিত্রে যোগ হয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ।
মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে ২ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারায়, শহীদ হয় ৩০ লক্ষ মুক্তিকামী জনতা। লাখো শহীদের সাথে যোগ হয়েছিল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ১৪ জন শহীদের নামও।
১৯৭১ সালে ১১ই মে নলছিটি থানায় তৎকালীন এস আই মো: ইউসুফ আলী উপজেলার ১২৬ জন সম্ভ্রন্ত ব্যাক্তিকে থানায় দাওয়াত দেয়।
এদের মধ্য থেকে ১৪ জন গন্যমান্য হিন্দু নেতাকে ২ দিন বিনা অপরাধে পরিকল্পিত ভাবে থানায় আটক রাখার পর ১৩ মে পাকিস্তানি দোষর আলবদর রাজাকারের সহায়তায় সুগন্ধা নদীর তীড়ে হাত ও চোখ বেঁধে পুলিশ নি:শংস ভাবে সাড়িবদ্ধ অবস্থায় দাড় করে গুলি করে হত্যা করে।
এরা হলেন শহীদ ভাষান পোদ্দার, কেষ্ট মোহন নন্দী, শ্যামা কান্ত রায়, দশরথ কুন্ড, হরিপদ রায়, অক্ষয় কুমার আচার্য্য, কার্তিক চন্দ্র ব্যানার্জী, শচীন্দ্র নাথ দে, অতুল চন্দ্র কুঁড়ি, নেপাল চন্দ্র কুঁড়ি ও সুকুমার বনিক।
সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েও আলৌকিক ভাবে বেঁচে যান ৩ জন। তাঁরাও কয়েক দিনের মাথায় মারা যান এরা হলেন খিতিশ চন্দ্র দত্ত, অনীল চন্দ্র দে, কালিপদ মজুমদার।
আজও শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজনের খোজে তামাক পর্টি খালের মুখে অশ্রু বিসর্জন দেন। এদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এসেও স্বজন হারা মানুষগুলো শহীদ পরিবারের স্বকৃতি না পাওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবিষয়ে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST