রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচিতে উদযাপিত হলো স্বাধীনতা দিবস।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবন ও উপাচার্য ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এদিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার সকাল সাড়ে ছয়টায় শহীদ মিনারে ও সাতটায় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পৌনে সাতটায় হল প্রশাসন, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, শিক্ষক সমিতিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।

পৌনে নয়টায় শেখ রাসেল মডেল স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নয়টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে মার্চ পাস্ট, সাড়ে নয়টায় শেখ কামাল স্টেডিয়ামে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জারের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সকাল সাড়ে দশটায় শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, ফুটবল, হ্যান্ডবল ও ভলিবল খেলা।

দিবসের কর্মসূচিতে আরো ছিলো- অফিসার সমিতি, সহায়ক কর্মচারী সমিতি, সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন, পরিবহন কর্মচারী সমিতি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাবি ইউনিট কমান্ডের নিজ নিজ কার্যালয়ে আলোচনা সভা করেন। বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেল চারটায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন একাডেমিক ভবনে পোস্টার প্রদর্শনী, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে রাবি শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে আন্তঃছাত্রী হল বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং সাতটায় শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

এছাড়া এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল সাতটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।