ঢাকা ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিশেষ প্রতিনিধিঃপটুয়াখালী, দুমকি উপজেলা, আংগারিয়া ইউনিয়নে,২২ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকাল ৪ টায় ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ঝাটরা গ্রামে সত্তার শিকদার এর বাড়ির উঠানে উক্ত ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনায় আহতরা হলেন সত্তার শিকদার এর স্ত্রী
মাসুদা বেগম (৫০) মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২০), ছেলে আল আমিন এর ৬ মাসের শিশু পুত্র রাইয়ান, সাইদুল শিকদার এর ছেলে শাকিল (১৪) আনোয়ার শিকদার এর স্ত্রী লাভলী (২৭),সুলতান শিকদারের ভাগ্নে কাজল হোসেন এর মেয়ে তাসমিম (১২)। উক্ত আহত ব্যক্তিরা সকলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উক্ত কামড় ও পিটিয়ে আহত করার অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মৃত. কাদের সরদার এর ছেলে মোঃ কালাম সর্দার (৫০), কালাম সর্দার এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৫), মেয়ে সীমা বেগম (৩০),সুখী বেগম (২০), ছোট জামাই মোঃ মাইদুল ইসলাম (৩০) এবং সালাম সরদার (৬০), সালাম সর্দার এর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫০), মেয়ে মানসুরা বেগম (২২) ও মনি আক্তার (১৫)।
৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মিজান সর্দার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সালাম ও কালাম এর পরিবার অত্যন্ত খারাপ। এরা বিগত দিনেও মৌলভী আঃ বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সর্দারকে কামড়িয়েছে।
সালাম সর্দার এর মেয়ে মানসুরা আক্তার বলেন, কিছু দিন আগে আমার বাবা ও কাকাকে ওরা সন্ত্রাসী দিয়ে মেরেছে এবং আমাদের জমি দক্ষল নিয়েছে।
জানা যায় , ঘটনার দিন বিকেলে কালাম সর্দার জব্বার মাস্টারের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাবুল হাওলাদারের দশ বছরের ছেলে বিজয় তাকে কুত্তা কালাম বলে ডাক দেয়।এরপর বাড়িতে গিয়ে তার মেঝ ভাই সালাম সর্দারকে বিষয়টি বলেন। এরপর সত্তার শিকদার ও আনোয়ার শিকদার পরিবার উক্ত ছেলেকে তারা শিখিয়ে দিয়েছেন বলে সন্দেহ করে। যেহেতু তাদের সাথে জমিজমার পূর্ব বিরোধ আছে। এরপর সবাই দলবলে সত্তার শিকদার ও আনোয়ার শিকদার এর বাড়ি এসে অতর্কিত হামলা চালায়।
অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা ৯৯৯ ফোন দিলে ঘটনা স্হানে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা দুমকি কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে,কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, গুরুতর দই জনকে ভর্তি করেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST