বদলগাঁছীতে ভোজ্য সয়াবিন তেল নিয়ে তেল বাজি বোতল জাত তেল উধাও

প্রকাশিত: ২:০৮ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২২

বদলগাঁছীতে ভোজ্য সয়াবিন তেল নিয়ে তেল বাজি বোতল জাত তেল উধাও

সাগর হোসাইন বদলগাছীঃ
সরকার কর্তৃক ভোজ্য সয়াবিন তেলের দাম বেধেঁ দেওয়ার কয়েক দিন অতিবায়িত হলেও নওগাঁ জেলার বদলগাঁছী উপজেলা বাজারে এর কোন বাস্তবায়ন হয়নি।

সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাজারে এখনো খোলা সয়াবিন তেল পাইকারী ২১৫ ও খুচরা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা সদর হাটখোলা বাজার এর পশ্চিম পার্শে অবস্থিত ইউনিক ট্রেডাস এর সত্বাধিকারী এখলাছুর রহমান জানান, তিনি বগুড়ার বসাক ট্রেডার্স থেকে গত ৬ মে সয়াবিন তেল কিনেছেন প্রতি ব্যারেল ৩৮ হাজার ৩ শত টাকা দরে। আর পরিবহন ভাড়া বাবদ ২০০ শত টাকা এবং লেবার খরচ সহ তার প্রতি কেজিতে ২০৫ টাকা লেগেছে। পাইকারী ও খুচরা বাজারে তিনি বিক্রি করছেন ২১৫ টাকা কেজি।

লিটন ভ্যারাইটি স্টোর এর সত্বাধিকারী আজিজুল হক এর ভাই লিটন জানান, তারা নওগাঁর মেসার্স সুমন এন্ড ব্রাদস থেকে সয়াবিন তেল ব্যারেল প্রতি কিনেছেন ৩৮ হাজার টাকা। আর বাজারে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করছেন ২১০ টাকা কেজি।

ফারুক ষ্টোর এর সত্বধিকারী ফিরোজ হোসেন জানান, তারা ও নওগাঁ মেসার্স সুমন এন্ড ব্রাদস থেকে সয়াবিন তেল ব্যারেল প্রতি কিনেছেন ৩৮ হাজার টাকা। তারা খুচরা ও পাইকারী ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

অপরদিকে বদলগাঁছী বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। প্রকৃত পক্ষে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার জন্য তারা আর ও বেশি দরে বিক্রি করছে। আর বোতলজাত সোয়াবিন তেল তো বাজার থেকে একেবারে উধাও। বেশি দরেও কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না।

সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, পূর্বে মজুদকৃত বোতলজাত সয়াবিন তেল থাকলেও খোলা বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার জন্য বোতলজাত তেল গুলি খুলে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি করেছে। ফলে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সাধারণ ক্রেতারা এখন খোলা সয়াবিন তেলের উপর নির্ভর হয়ে পরেছে।

একদিকে তেলের দাম বৃদ্ধি তারপরও আবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ডিজিটাল ওজন মাপার মেশিনে কৌশলে তেল কম দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ ক্রেতাদের। তারা উচ্চ মুল্যে খোলা সয়াবিন কিনলে ও কেজি প্রতি প্রায় ২০ গ্রাম থেকে ৫০ গ্রাম পর্যন্ত তেল ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতা সাধারণ পাইকারী ও খুচরা তেল ব্যাবসায়ীদের নিকট থেকে ক্রয় করে অন্য ডিজিটাল মিটারে ওজন করলে ওই পরিমান তেল কম হলে বিষয়টি ধরা পরছে।

বদলগাঁছী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামের খুচরা মুদি ব্যবসায়ীরা পাইকারী খোলা সয়াবিন ২১৫ টাকা কেজি দরে কিনে এনে তারা ২২০ টাকা দরে বিক্রি করছে।

উপজেলার সচেতন মহল মনে করছে, সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে যেন মগের মুল্লুক তৈরী হয়েছে। সকারের বেধেঁ দেওয়া নির্ধারিত দাম কে তোয়াক্কা করছেনা তেল ব্যবসায়ীরা।

অবিলম্বে স্থানীয় প্রশাসন দ্বারা বাজার মনিটরিং জোরদার করে সয়াবিন তেল সহ অন্যান্য ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রন না করলে সাধারণ জনতা কঠিন বিপাকে পরবে।

প্রবাদ রয়েছে , নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এখন তেল আনতে তরকারী ফুরিয়ে যাওয়ার অবস্থা।

বড় বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রন করলেই তেলে দাম স্বাভাবিক হবে এবং জন সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে এমনটাই মনে করছেন সাধারণ ক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest