ঢাকা ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০
আলোকিত সময় ডেক্সঃ বরগুনার আমতলীতে সরকারী ধান ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ইউএনও মনিরা পারভীন খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে ক্রয় কৃত ১শ’৯৫ বস্তা ধান জব্দ করেন। এ অনিয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উপ-খাদ্য পরিদর্শক অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড ও ধান সরবরাহ কারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় কৃষকের নিকট থেকে সরকারী ভাবে এবছর ১হাজার ৪০ টাকা মন দরে ২হাজার ৯১ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়। খাদ্য বিভাগের লোকজন ওই ধান কৃষকের নিকট থেকে না কিনে সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার মৃধার বোনের ছেলে দালাল ফেরদৌসের মাধ্যমে নিম্ন মানের ধান ক্রয় করছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এখবর পেয়ে টিএন্ডটি সড়কে অবস্থিত খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি অবৈধ ভাবে ধান সরবরাহকারী ফেরদৌস এর নিকট থেকে ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান ক্রয়ের সত্যতা পান। ফেরদৌস আমতলীর উত্তর টিয়াখালী গ্রামের ৫ জন কৃষকের কার্ড সংগ্রহ করে ওই কার্ডের অনুকুলে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহের জন্য গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার মেসার্স দীপ্ত এন্টার প্রাইজের মালিক সুনিল সমদ্দার এর আড়ৎ থেকে ধান ক্রয় করে ট্রাক যোগে আমতলী এনে খাদ্য গুদামে সরবরাহ করে। এ সংবাদ পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে সরবরাহ করা ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান জব্দ করেন। এবং এঘটনার সাথে জড়িত থাকর অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগের উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) মো. শফিকুল ইসলাম এবং ওসিএলএসডি রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাদের উর্ধতন কর্তপক্ষের নিকট সুপারিশ করেন। এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা ওসিএলএসডি রবীন্দ্র নাথ মন্ডলকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। (০১৭৩৪৬৭৮০৬৪) আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, জব্দ করা ধান পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন জানান, কৃষকের নিকট থেকে ধান না কিনে খাদ্য বিভাগের লোকজন দালালের মাধ্যমে নিম্ন মানের ধান ক্রয় করে খাদ্য গুমামে মজুদ করার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জনকে ১০ দিনে কারাদন্ড ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করি। তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত ধান পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এবং এ ধান পরবর্তীতে নিলামে বিক্রি করা হবে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST