ঢাকা ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২২
সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম ০১.০৭.২২
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি কমে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় বন্যায় দ্বিতীয় দফায় প্লাবিত এলাকা গুলোতে মানুষ চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। আজ ৩ টা পর্যন্ত ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, নুন খাওয়া পয়েন্টে ৬৬ সেন্টিমিটার ও তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যায় আশ্রিত মানুষজনের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। বন্যা দীর্ঘ হওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকার খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে।
প্রায় ১৭ দিন ধরে কোনো কাজকর্ম না থাকায় বেকার এ পরিবারগুলো সম্পূর্ণ ত্রাণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ত্রাণ পেলে খাবার জোটে না পেলে উপোস কাটাতে হয়। এমন পরিস্থিতি নদী অববাহিকার সবগুলো চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর। বাগুয়ার চরের কুবাত আলী জানান, “৫ দিন আগে ২ কেজি চাল ১ কেজি আলু পাইছিলাম। ২ পোলা পান নিয়ে ৪ জন ২ দিন খাইছি। আত্মীয়ের বাড়ি থেকে চাল আইনা খাইলাম। ভাবছিলাম পানি কমলে কাজকর্ম পাইমু। কিন্তু আবার পানি বাইড়া গেল। এখন কি করমু ভাইবা পাইতাছি না”। সোরাব আলীও এমন কথা শোনালেন।
সরকারিভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও ত্রাণ স্বল্পতার কারণে অনেকেই ত্রাণ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। এমন অনেক পরিবার দুর্গম চরাঞ্চলে অনাহার ও অর্ধাহারে রয়েছে।
এখনো স্বাভাবিক হয়নি জেলার চর ও নিম্নাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এমন অবস্থায় নিজেদের খাদ্য সংকটের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যসংকট নিয়েও চরম বিপাকে বানভাসি মানুষজন।
অপরদিকে বন্যাকবলিত এলাকার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে ভাঙন। অনেকেই বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোর অধিকাংশই সহায় সম্বল হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST