বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণ গণনা সূচনা বোর্ডের উদ্বোধন গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২০

বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণ গণনা সূচনা বোর্ডের উদ্বোধন গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন

আরিফুল ইসলাম ,জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণ গণনা সূচনা বোর্ডের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ ১০ জানুয়ারী শুক্রবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উক্ত বিষয়ে অবগত করার লক্ষে লিখিত প্রেস রিলিজ পাঠ করেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। সংবাদ সম্মেলনের এসময় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লী হয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি স্বাধীন স্বদেশের বুকে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্থানী বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির উপর আক্রমণ শুরু করার পরই ধানমন্ডির বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। মুক্তিযুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের পর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়। সেই ১০ জানুয়ারির অপরাহ্নে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তখনকার রেসকোর্স ময়দান) গিয়ে স্বত:স্ফুর্তভাবে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।

এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী স্বত:স্ফুর্তভাবে উদযাপন করার উদ্দেশ্যে মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা কার্যক্রম উদ্বোধন করার জন্য স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ দিনটি বেছে নেয়া হয়েছে। দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় এবং সেইসাথে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় একযোগে এই কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকল সরকারি, বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, এনজিও, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ, রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীবৃন্দকে ক্ষণ গণনা কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার হয়েছে। জেলা পর্যায়ের সকল বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারী, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী রাজনৈতিক নেতাকর্মী, স্থানীয় এনজিও প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও সর্বস্তরের জনসাধারণের স্বত:স্ফুর্ত উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে উপজেলা পর্যায়েও অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষের অবগতির জন্য শুক্রবারের খুতবার সময় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ক্ষণ গণনা যন্ত্রের ‘শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান’ তৃণমুলি পর্যন্ত পর্দায় দেখানোর জন্য সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন গাইবান্ধা কর্তৃক এ উপলক্ষে বিকালে পৌরপার্কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি নিয়ে গাইবান্ধা পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ, পৌরপার্কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র সরাসরি বড় পর্দায় সম্প্রচার এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশব্যাপী একযোগে ক্ষণ গণনা যন্ত্রের ‘শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান’ বড় পর্দায় প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে। বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, ৩টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বর থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, বিকাল ৪টায় পৌর পার্কে সূচনা বোর্ডের উদ্বোধন, বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক একযোগে ক্ষণ গণনা যন্ত্রের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বড় পর্দায় প্রদর্শন এবং সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। এছাড়া সন্ধ্যায় আতসবাজি আয়োজন থাকবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest