স্বাস্থ্যসেবার আস্থার প্রতীক রাজাপুর ইসলামিক মিশন হাসপাতাল

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২২

স্বাস্থ্যসেবার আস্থার প্রতীক রাজাপুর ইসলামিক মিশন হাসপাতাল

স্টাফ রিপোর্টার # ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাসকাঠী গ্রামে অবস্থিত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর আওতাধীন এক মনোরম পরিবেশে ইসলামিক মিশন হাসপাতাল কমপ্লেক্স। ইসলামিক মিশন হাসপাতালের মাধ্যমে রাজাপুর উপজেলা তথা কাঠালিয়া ও পাশ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা এবং মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আগত দৈনিক গড়ে প্রায় ২৫০/৩০০ জন রোগী ০৫ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর মাধ্যমে ১০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা ও ফ্রি ঔষধ পাচ্ছেন।
চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি আগত রোগীগণ অভিজ্ঞ ল্যাব ও এক্স-রে টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে নাম মাত্র মূল্যে যাবতীয় পরিক্ষা নিরীক্ষা ও এক্স-রে সেবা পাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , করোনা ভাইরাস সংক্রামণের মধ্যেও ইসলামিক মিশন হাসপাতালের ০৫ জন চিকিৎসকগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আরও জানা যায়, ইসলামিক মিশন হাসপাতাল কমপ্লেক্স-এ প্রকট জনবল সংকট বিদ্যমান। ইসলামিক মিশন হাসপাতালের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডা: ইলিয়াস খান জানান, এখানে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে আগত রোগীদের আউটডোর চিকিৎসা সেবার পাশাপশি সীমিত পরিসরে ইনডোর চিকিৎসা চলমান রয়েছে। প্রকট জনবল সংকট থাকা সত্তেও হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও নার্স এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। তবে জনবল সঙ্কটে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান , করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ইসলামিক মিশন হাসপাতালের চিকিৎসকগণেরা নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। রাজাপুর উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্স ও নিকটবর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্স থাকা সত্তেও এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা তথা চিকিৎসক ,নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহার সন্তোষজনক বলেই আমরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসি।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠী-১ মাননীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন জানান ইসলামিক মিশন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা সন্তোষজনক এবং অত্র এলাকার তথা পাশ্ববর্তী এলাকার জন সাধারনের আস্থার প্রতীক । চিকৎসা সেবার মান উন্নয়নে অতি জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালের শূণ্য পদ সমূহে জনবল পদায়ন ও পূর্নাঙ্গ ইনডোর চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন যে, ইসলামিক মিশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: ইলিয়াস খান একজন সুদক্ষ অফিসার ও চিকিৎসক বটে। তিনি এখানে যোগদানের পর ইসলামিক মিশন হাসপাতালের কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানের সার্বিক কার্যক্রম সন্তোষজনক ও জনকল্যাণমূখী। যার সুবিধা ভোগ করছেন আমার এলাকার জনগণ। চিকিৎসা সেবার মান অটুট রাখতে দ্রুত শূণ্য পদে জনবল পদায়নের পাশাপাশি পূর্নাঙ্গ ইনডোর চালুকরনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest