পিপিআর রোগ নির্মুল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ৩৪৫ কোটি টাকা কোথায়??

প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

পিপিআর রোগ নির্মুল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ৩৪৫ কোটি টাকা কোথায়??

ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় পিপিআর রোগ নির্মুল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে সারা বাংলাদেশে ৪২১২ জন ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটর নিয়োগ দেয় ২০১৯ সালে (প্রতিটি ইউনিয়ন)। জানা যায় প্রকল্পের বাজেট রয়েছে ৩৪৫ কোটি টাকা। যা ভ্যাক্সিনেটরদের বিভিন্ন উপকরণ, সরঞ্জামাদি সহ সম্মানি ভাতা প্রদানের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা। পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের মেয়াদ শেষের দিকে হলেও এপর্যন্ত কোন কার্যক্রম শুরু করা হয়নি। দেওয়া হয় নাই কোন প্রকার বেতন-ভাতা। পাঁচ বছরে কারো কারো সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়েছে। বেকার হলো বাংলাদেশের ৪২১২ যুবক। একারনেই প্রতিনিয়ত নিরবে কেঁদে বুক ভাসায় ৪২১২ জন যুবক, অতি কষ্টে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে ৪২১২ টি পরিবার। প্রতিদিন চোখের জল ফেলছে ৪২১২ জন গৃহবধূ। ৮৪২৪ জন বাবা মায়ের কাতর আর্তনাদ, ১২৬৩৬ জন সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের আশঙ্কা। উক্ত প্রকল্পের আওতায় বেতন ভাতা সহ সকল কার্যক্রম এর দাবিতে বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটর এসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটর এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ বলেন ২০১৯ -২০ অর্থ বছরে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর পি পি আর রোগ নির্মূল ও খুড়া রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় দেশের মোট পৌরসভা এবং ইউনিয়নে একজন করে ৪২১২ জন ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটর কর্মী নিয়োগ প্রদান করে।

বৃহত্তর রংপুরে ৮ টি জেলাসহ পাবনা, সিরাজগন্ঞ্জ, ভোলা ও মানিকগন্ঞ্জে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও নিয়োগের পর ৪ বছর অতিক্রান্ত হবার পরও নাটোর, ময়মনসিংহ বিভাগ সহ অনান্য জেলায় প্রকল্পটি চালু হয়নি। বক্তাগণ বলেন নিয়োগ পাওয়ার পর আজ অবধি কোন প্রকার বেতন ভাতা বা সরকারি সাহায্য সহযোগিতা না পওয়ায় সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন হচ্ছে এবং অনিশ্চয়তার সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটরগণ। তাদের দ্রুততার সাথে দেশের সকল পৌরসভা ও ইউনিয়নে প্রকল্পটি চালুকার জোর দাবি জানান। ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটরগণ নিরবে কেঁদেই যাচ্ছে সব সময়। তাদের মুখে চাপা প্রশ্ন আর কতো কাল নিরবে অশ্রু ঝরাতে হবে ৪২১২ টি পরিবারের। প্রকল্পের বাজেট প্রাপ্ত ৩৪৫ কোটি টাকার হদিস কোথায়?? জানতে চায় ৪২১২ জন ভলান্টিয়ার ভ্যাক্সিনেটর।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest