ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিমালা প্রয়োগ করার কথা বললেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আপতুন নেছা খাতুন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। নীতিমালার ফাঁক-ফোকর দিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষেই কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতেই সরব রয়েছে কোচিং বাণিজ্য।
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ মোতাবেক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে গত ২৩ মার্চ থেকে রমজানের ছুটি শুরু হয়েছে এবং তা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই কোচিং বাণিজ্য। দ্রব্যমূল্যের এ বৃদ্ধির ক্রান্তিলগ্নে ছেলে-মেয়ের কোচিংয়ের খরচ চালাতে গিয়ে অভিভাবকগণ হিমশিম খাচ্ছেন। আর উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারের নীতিমালা।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র রমজান উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকলেও উপজেলার দুমকি আপতুন নেছা খাতুন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নূতন ভবনের দোতলায় সকাল ১১টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ইংরেজি শিক্ষক রুবেল হোসেন কোচিংয়ের পাঠদান করাচ্ছেন। গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেলে দ্রুত শ্রেণি কক্ষ থেকে বেড়িয়ে বারান্দায় আসেন। বিভিন্ন কথার মাঝে উঠে আসে আরও দু একজন শিক্ষকের নাম।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। আমাদের বাবা-মা টাকা দিয়ে কোচিংয়ে পড়াতে পারেন না। স্যারেরা কোচিংয়ে ভালোভাবে পড়ালেও ক্লাসে আর ওই পড়া ভালো মত বুঝিয়ে পড়ান না। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।
অভিভাবকরা বলছেন, অধিকাংশ সময় যেসব শিক্ষক কোচিংয়ে পড়ান, তারা রুটিন ক্লাসের সময় গল্পগুজবে মশগুল থাকেন। এতে করে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, নির্ভর হয়ে পড়ছে কোচিংয়ের ওপর।
এ বিষয়ে ইংরেজি শিক্ষক রুবেল হোসেন বক্তব্য চাইলে বলেন, বিষয়টি তো বেআইনি। এর আর কি বক্তব্য দেব। এটা(রমজান মাসে ক্লাস বন্ধ থাকলেও প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষে কোচিং) পারমানেন্ট কিছু না। এতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার কিছু নয়।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুন নাহার ইয়াসমিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, বিষয়টি আমি এখনই দেখতেছি।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাঃ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘২০১২ সালের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে একটি নীতিমালা রয়েছে। এ নীতিমালার বাইরে গিয়ে যদি কোচিং বাণিজ্য করেন তবে ওই শিক্ষক অপরাধ করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করুন। এতে যদি প্রতিকার না হয় তবে আমি ব্যবস্থা নিব।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST