ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে নাসির উদ্দিন হাওলাদার নামের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্টের বিরুদ্ধে সরকারি খালে পাইলিং করে মাটি ভরাট করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জলিশা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজে এডমিন অফিসার হিসেবে কাজ করছেন।
রবিবার(১৬ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঐতিহ্যবাহী পীরতলা খালটির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের উত্তর পাশে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন হাওলাদারের দাগের অগ্রভাগে খুঁটি আর নেট দিয়ে পাইলিং করে দখলে নিয়ে মাটি ভরাট কাজ চলছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, জলিশা, দুমকি, রাজাখালি ও জামলা গ্রামের গৃহস্থদের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি ক্রমাগত তীর ভরাট, বেপরোয়া দখল ও দূষণের কবলে পড়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও খালসংলগ্ন দুই পারের বাসিন্দারা খালপাড়জুড়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে খালটির অস্তিত্ব বিনষ্ট করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একসময়ের প্রবহমান খালটি পাতাবুনিয়ার নদী হয়ে মুরাদিয়ার নদী পর্যন্ত প্রসাশনের ও চেয়ারম্যান মেম্বারদের নির্লিপ্ততায় প্রভাবশালীরা দখল আর দূষনে মরা খালে পরিণত হয়েছে। খাল পাড়ের এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে এবং খালটি খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনলে আমাদের কৃষি কাজের জন্য সুবিধা হবে।
স্থানীয় কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, এ খালটির করুণ দশায় জলাবদ্ধতা ও জলসংকটের ফলে আমরা কৃষি কাজে ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হই।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমি রাস্তা থেকে খালের মধ্যে ১৪ ফুট পাবো। তারপরেও ২ ফুট রেখে ভরাট করেছি। আমি সরকারি খাল ভরাট করিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে আংগারিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ বাদল হোসেন বলেন, জনগনের জমি দিয়েই খাল খনন করা হয়েছে। তা বলে এখন লাভ নেই। এখন ওটা সরকারী খাল। পাইলিং করে তিনি(নাসির হাওলাদার) ঠিক করেন নি।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান বলেন, আমি স্পটে এসে দেখবো। আমি আসতেছি এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেব।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST