ঢাকা ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৩
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: শিক্ষা বিস্তারে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে মানসম্মত শিক্ষার বিস্তারকল্পে কাজ করে যাচ্ছে দৃষ্টিপ্লাস কিশলয় বিদ্যা নিকেতন। ২০ বছরে পদার্পণ করল নামী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
২০০৪ সালের আজকের এই দিনে শিক্ষার আলো ছড়াতে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে নানা চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নে দৃষ্টিপ্লাস কিশলয় বিদ্যা নিকেতন।
উপজেলার সফল এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মো. মোর্শেদুর রহমান আনিস ব্যাপারী। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছেন একঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক নিয়ে।
মোর্শেদুর রহমান আনিস শিক্ষা জীবন শুরু করেন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, পাটশ্বরী বরকতিয়া বহুমূখী উচ বিদ্যালয় থেকে স্টার মার্কসহ ১৯৯৫ সালে এসএসসি এবং উপজেলা সদরের ভূরুঙ্গামারী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করে। পরে ভর্তি হন সরকারী আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। সেখান থেকে তিনি স্নাতক সন্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন বলে জানান।
তিনি এরপরই নিজ এলাকায় মানসম্মত শিক্ষার বিস্তারকল্পে কাজ করতে শুরু করেন। যার ফলশ্রুতিতে দৃষ্টি প্লাস কিশলয় বিদ্যা নিকেতন প্রতিষ্ঠানের যাত্রা। ২০ বছর পূর্বে অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা আরম্ভ হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটির।
সরকারি শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানটি চলছে। সততা ও আদর্শের পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদেরকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ অঙ্গীকারবদ্ধ।
এ বিদ্যালয়ে প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পর্যন্ত চালু রাখা সম্ভব হয়ে উঠেছে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাশের হারসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা পর্যায়ে এমনকি জেলা পর্যায়েও অনেক ভালো মানের বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। বিদ্যালয়টির বর্তমানে দুইটি শাখা চালু আছে।
আজ সেই প্রতিষ্ঠার দিন। দিনটিকে স্বরণ করে রাখার জন্য আয়োজন করা হয় এক বিতর্ক প্রতিযোগীতা।
বিতর্কের বিষয় ছিল নিন্ম মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র/ছাত্রীদর স্মার্টফোন ব্যাবহার উচিত কিংবা অনূচিত। এক্ষত্রে দুটি দল অংশগ্রহন করে। একটি দৃষ্টি-১ এবং অপরটি দৃষ্টি-২।
বিতর্কে দৃষ্টি-১ দলটি বিজয়ী হয়।
পরে, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মো. মোর্শেদুর রহমান আনিস ব্যাপারী উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরণের বিতর্ক প্রতিযোগীতা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST